চট্টগ্রাম: মুন্সীগঞ্জের হিমাগার থেকে প্রতিকেজি আলু ২৭ টাকা দরে কিনে ২৫০ বস্তা সরকারি দামে বিক্রির জন্য চট্টগ্রামে পাঠিয়েছিলেন বেপারী। কিন্তু পাহাড়তলী বাজারের হাবিবুর রহমানের মেসার্স লাকি স্টোর সেই আলু পাইকারিতে বিক্রি করেছে ৩৯ টাকা কেজি দরে।
লাকি স্টোরকে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে আলু বিক্রি ও মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করায় ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং সতর্ক করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের অভিযানকালে ওই আড়তে থাকা ১৫-১৬ বস্তা আলু ৩২ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার জানান, আলু, ডিম, পেঁয়াজের নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় রিয়াজউদ্দিন বাজার ও পাহাড়তলী বাজারে অভিযান পরিচালনা করে। মুন্সীগঞ্জ থেকে সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম তথ্য দিয়েছিলেন হিমাগার থেকে ২৭ টাকা দরে কেনা আলু চট্টগ্রামের বাজারগুলোতে কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে পাঠানো হয়েছে। তথ্য ছিল পাহাড়তলী বাজারের হাবিবুর রহমানের প্রতিষ্ঠান মেসার্স লাকী স্টোরে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২৭ টাকা হিমাগার রেটের ২৫০ বস্তা আলু এসেছে। প্রতিষ্ঠানটিতে তদন্তকালে দেখা যায় যে ওই আলু ৩৯ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ থেকে আলুর প্রেরকের সঙ্গে কথা বলে যানা যায় যে তিনি হিমাগার রেট ২৭ টাকা দরে আলু কেনার পর চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বাজারের হাবিব সাহের কাছে ২৫০ বস্তা আলু পাঠিয়েছেন। তবে তিনি এ প্রতিষ্ঠানকে ৩৯ টাকায় আলু বিক্রির নির্দেশনা দেননি বরং বলেছিলেন সরকারি রেট সঠিক রেখে পাইকারি বিক্রি করতে।
অভিযানকালে ডিম ও আলুর দুটি আড়তে মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নাসরিন আক্তার জানান, রিয়াজউদ্দিন বাজারের কোন ব্যবসায়ীর কাছে আলু পাঠানো হয়েছে তা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি