চট্টগ্রাম: গাঢ় লাল রঙের প্লাস্টিকের বস্তায় ভরা বড় আকারের পেঁয়াজ খাতুনগঞ্জের আড়তে বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩৭ টাকা। এগুলো সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, খাতুনগঞ্জের বেশিরভাগ আড়তে পাটের সুতার (চট) বস্তায় ভরা ভারতের পেঁয়াজই বেশি। হাতে গোনা কিছু দোকানে আছে পাকিস্তানি পেঁয়াজ। কিন্তু খুচরা দোকানি, হোটেল মালিকরা কম দামি পেঁয়াজই কিনছেন বেশি।
আড়তদাররা জানিয়েছেন, পাকিস্তানি পেঁয়াজগুলো বিভিন্ন আকারের। কোনোটি লম্বাটে তো কোনোটি গোল। কোনোটি বেশি বড়, আবার কোনোটি মাঝারি, ছোট। ভারতের পেঁয়াজগুলো একই আকারের এবং গোলাকার। অনেকটা দেশি পেঁয়াজের মতোই। তারপরও খাবার হোটেল মালিকরা তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় দেদারছে কিনছেন পাকিস্তানি পেঁয়াজ। অনেকে কম দামে কিনে রিকশাভ্যানে, ফুটপাতে বসে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন এ পেঁয়াজ।
মেসার্স হাজি অছি উদ্দিন সওদাগর নামের আড়তদার জানান, পাকিস্তানি পেঁয়াজ কিনছেন খাবার হোটেলের মালিক বা ম্যানেজাররা। প্রতিকেজি পাকিস্তানি পেঁয়াজ প্রথম দিন ৪০ টাকা বিক্রি করেছি। আজ দর কমে ৩৭ টাকায় নেমেছে। একই সঙ্গে ভারতের পেঁয়াজ ৫০-৫২ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এগুলো এর আগে ৫৭-৫৮ টাকা বিক্রি করেছিলাম।
মেসার্স আল্লারদান স্টোরের মালিক মো. জাহাঙ্গীর বলেন, মানভেদে ৪৫-৫৫ টাকা বিক্রি করছি ভারতের পেঁয়াজ। পাকিস্তানি পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৩৭-৩৮ টাকা।
মোমিন রোডের কদম মোবারক এতিমখানা মার্কেটের সামনে রিকশাভ্যানে পাকিস্তানি পেঁয়াজ বিক্রি করছিলেন আবদুল করিম। দুই কেজি ১০০ টাকা। তার ভ্যানের সামনে ভিড় জমে যায় গৃহিণীদের। বেছে বেছে পেঁয়াজ কেনেন তারা।
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আসা পেঁয়াজ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড়পত্র দিয়ে থাকে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র। এ কেন্দ্রের উপ পরিচালক মো. নাছির উদ্দীন বাংলানিউজকে জানান, এ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে প্রথমে চারটি, পরে আরও দুইটি পেঁয়াজের চালান এসেছে চলতি মাস সেপ্টেম্বরে। প্রতি চালানে পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ এসেছে প্রায় ৫৮ টন করে। পাইপলাইনে আরও পেঁয়াজ আছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি