চট্টগ্রাম: রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, কালুরঘাট সেতু অনেক পুরোনো। এ সেতু মেরামতের কাজ চলছে, যাতে কক্সবাজার রুটের ট্রেন নিরাপদে চলতে পারে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে কালুরঘাট সেতু মেরামতের কাজ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের যে ইঞ্জিন ছিল, সেটি ১২ টনের। আমরা জানি যে, এই সেতু অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এটার স্ট্রেন্থ যাতে বাড়ানো যায়, সে কারণে আমরা প্রকল্প গ্রহণ করেছি। কাজ চলমান। এই ব্রীজটি বাদ দিয়ে নতুন একটি ব্রীজ কালুরঘাটে হবে। যেটি এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি।
‘আমরা আশা করছি, আগামী বছর এ নতুন সেতুর আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু হবে। ডাবল লেইন মিটারগেজ এবং ফোর লেইনের সড়ক থাকবে একই ব্রিজের ওপর। কাজেই সেটি না হওয়া পর্যন্ত এই ব্রিজটি যেন আমরা ব্যবহার করতে পারি, সেভাবেই এটি তৈরি করা হচ্ছে। ২ নভেম্বর আমরা এখানে আসব এবং ট্রায়াল রান করব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১২ নভেম্বর উদ্বোধনের পূর্বেই এই রেললাইনটি ভালোভাবে তৈরি হয়েছে কিনা সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হতে চাই’।
রেলমন্ত্রী বলেন, আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই এই ব্রিজের কাজ শেষ হবে। তবে ছোটখাটো কিছু কাজ থাকতে পারে। একই ব্রিজ দিয়ে ট্রেন যায়, যানবাহন চলাচল করে, মানুষও চলাচল করে। সেই পথচারীদের জন্য আমরা আলাদা করে একটা লেইন করে দিয়েছি। মূল ব্রিজের ভিতরে আসতে হবে না। এটি এর আগে ছিল না। আমরা আরো ৬ ফিট ওয়াকওয়ে করে দিয়েছি, সেটার কাজ শেষ হতে আরো এক-দুই মাস সময় লাগতে পারে। আগে মূল ব্রিজের কাজ শেষ হোক, এরপর ওয়াকওয়ের কাজ শুরু হবে। এটা নতুন একটা সংযোজন।
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা ব্রডগেজের ট্রেন এখন চালাতে পারছি না। ধীরে ধীরে এগুলোকে ব্রডগেজে রূপান্তর করব। আমরা খুব শিগগির চালাতে পারব না, কারণ মূল ফোকাসটা হচ্ছে ঢাকার সঙ্গে।
ঢাকার সঙ্গে যদি যাই, আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত আমরা ডুয়েল গেজ করেছি। এদিকে আবার দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ডুয়েলগেজ করেছি। ভবিষ্যতে আবার দোহজারী থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ করব। এরপর চট্টগ্রাম থেকে লাকসাম পর্যন্ত আমরা ডুয়েলগেজ করব। ওইদিকে আখাউড়া থেকে টঙ্গী পর্যন্ত আমরা ডুয়েলগেজ করব।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৩
বিই/এসি/টিসি