চট্টগ্রাম: পটিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর পক্ষ থেকে করা একটি মামলায় এক ইউপি চেয়ারম্যান সহ ১১ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকালে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তাররাহুম আহমদের আদালত থেকে জামিন পান তারা।
তারা হলেন- পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারিয়া ডালিম (৪৭), মো. হোসাইন রানা (৪৫), খোরশেদ আলম প্রকাশ খোরশেদ মেম্বার (৪০), এমরান উদ্দিন মনা (৪৪), আবদুল কাদের (২৮), ডিএম জমির উদ্দিন (৪৩), জসিম উদ্দিন (৪৮), মেজবাহ উদ্দিন ফয়সাল (২৭), মো. আরশেদ (৩০), জানে আলম (২৭), লোকমান (৪০)।
এর আগেরদিন গ্রেফতার হওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য প্রজ্ঞাজোৎতি বড়ুয়া লিটন (৪৫) ও মাহমুদুল হাসান মিসবাহ (২৬) চট্টগ্রামের একটি আদালত জামিন নেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ, অ্যাডভোকেট হোসাইন মো. মুরিদুল আলম, অ্যাডভোকেট গোলাম মওলানা মুরাদ, অ্যাডভোকেট রিক্তা বড়ুয়া ও অ্যাডভোকেট লক্ষ্মী বড়ুয়া বিবাদীদে র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন।
জামিন পাওয়ার পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোফরান রানা তাদেরকে ফুল দিয়ে সংবর্ধিত করেন।
এ সময় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড. জুলকারনাইন চৌধুরী জীবন, পটিয়া পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি নুর আলম সিদ্দিকী, কাজী মো. মোরশেদ, যুবলীগ নেতা শেখ বেলাল, নজরুল ইসলাম, ইউসুফ খাঁন উপস্থিত ছিলেন।
মহানগর আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী দলীয় প্রতীক না পাওয়ার কারণে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক মিথ্যা মামলা দিয়ে যাচ্ছেন। সামশুল হক চৌধুরী একসময় যুবদল, জাতীয় পার্টি ও পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে ঢুকে ১৫ বছর এমপি থাকলেও দলীয় নেতাকর্মীদের কোনো মূল্যায়ন করেননি। অথচ একের পর এক ত্যাগী নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে তিনি ৪টি মামলা করেছে দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২৪
পিডি/টিসি