চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কোনও এজেন্টকে কেন্দ্রে থাকতে দিবেন না বলে হুমকি দিয়েছেন চাম্বল ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী।
গত ২ জানুয়ারি ছনুয়া বাজারে নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর সমর্থনে অনুষ্ঠিত পথসভায় তার দেওয়া এই বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে।
এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এর কাছে ভোটার ও এজেন্টদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের লিখিত অভিযোগ করেছেন আওয়াল হোসেন নামের এক ভোটার।
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে ১০ জন প্রার্থী। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান সিআইপি, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ কবির লিটন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. খালেকুজ্জামান, এনপিপির মুহাম্মদ মামুন আবছার চৌধুরী, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. মহিউল আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের এম জিল্লুর করিম শরীফি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবদুল মালেক, ন্যাপের আশীষ কুমার শীল ও ইসলামী ঐক্যজোটের মো. শফকত হোসেন চাটগামী।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে চাম্বলের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী অস্ত্রের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে আসছেন। গত ২ জানুয়ারি ছনুয়া বাজারে নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর সমর্থনে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভায় চাম্বলের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে বলেন, ‘আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর কোনও এজেন্টকে কেন্দ্রে থাকতে দিব না। ৫ তারিখের পরে বুঝতে পারবি মুজিব চেয়ারম্যান কি?’ বক্তব্যটি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর ফলে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে জনমনে ভয় সঞ্চার হয়েছে, যা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের সামিল। তার এই ধরনের বক্তব্য স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিষয়টি বিবেচনায় এনে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান অভিযোগকারী।
বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরী মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর হুমকি দিয়ে এর আগে সমালোচিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২৪
এসি/টিসি