চট্টগ্রাম: নগরের লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করা হয় ১৪ নভেম্বর। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী-সিডিএ ফ্লাইওভার’ নামে চট্টগ্রামে প্রথম এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেন।
তবে নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়নি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। চার হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৪ সালের জুনে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হওয়ায় টানেলমুখি যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এ অবস্থায় আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে যান চলাচলের জন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। গত বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে সিডিএ প্রতিনিধি দল চসিক মেয়রকে এ বিষয়টি জানায়।
বৈঠকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নকশা, নির্মাণকাজ, এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠানামার পথ (র্যাম্প) ও সংস্কার করা সড়ক নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন ও অ্যানিমেশন ভিডিও উপস্থাপন করা হয়। এ সময় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের আওতায় দেওয়ানহাটের বর্তমান জরাজীর্ণ সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য সিডিএকে প্রস্তাব দেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন ও আফরোজা কালাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ও সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
যানবাহনের চাপ সামলাতে এই এক্সপ্রেসওয়ে সহায়তা করবে বলে মনে করছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা। এটি চালু হলে মাত্র ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম শহর থেকে বিমানবন্দর পৌঁছানো যাবে। তবে দিতে হবে নির্ধারিত হারে টোল।
প্রকল্প পরিচালক সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে যান চলাচলের জন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাকি কাজ সমাপ্ত করা যাবে।
১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে গাড়ি ওঠানামার জন্য ১৪টি র্যাম্প নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে জিইসি মোড়ে একটি, টাইগারপাসে দুটি, আগ্রাবাদে চারটি, ফকিরহাটে একটি, নিমতলায় দুটি, সিইপিজেডে দুটি এবং কেইপিজেড এলাকায় থাকছে দুটি র্যাম্প।
সাবেক মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদন পায় প্রকল্পটি। ২০১৮ সালের নভেম্বরে প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রথমে তিন হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ হয়েছিল। পরে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় চার হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকায়। এ ছাড়া প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২৪
এমআর/এসি/টিসি