চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের আরও এক লাখ আবাসিক গ্রাহকের জন্য প্রিপেইড মিটার বসাচ্ছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)। এতে ব্যয় হবে ২৯১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।
চট্টগ্রামে আবাসিক গ্রাহক ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬১ জন।
‘আবাসিক গ্রাহকদের জন্য প্রিপেইড মিটার স্থাপন প্রকল্প’ শিরোনামে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক লাখ মিটার স্থাপনের জন্য দ্বিতীয় ধাপে প্রকল্প নেয় কেজিডিসিএল। প্রাথমিক পর্যায়ে এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয় ২৪১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রথমে মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। এরপর প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ২৯১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, সময় বেড়েছে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত।
কেজিডিসিএল সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ধাপে এক লাখ প্রিপেইড মিটার বসানোর জন্য গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাপানি প্রতিষ্ঠান টয়োকিকি কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। এসব প্রিপেইড মিটার নগরী ও জেলায় বসানো হবে। গ্রাহক যত গ্যাস ব্যবহার করবে তত পরিমাণ বিল দেবে। এর সঙ্গে ২০০ টাকা মিটার চার্জ দিতে হবে। এর বাইরে ডিমান্ড চার্জ বা ভ্যাট বাবদ কোনও অর্থ দিতে হবে না গ্রাহকদের।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে হালিশহর, সদরঘাট, বায়েজিদ, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, চকবাজার, পাহাড়তলী, খুলশী, ইপিজেড, বাকলিয়া, কোতোয়ালী, ডবলমুরিং, বন্দর, পতেঙ্গা, আকবরশাহ এবং জেলার হাটহাজারী, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, কর্ণফুলী, আনোয়ারা, পটিয়া, বোয়ালখালী এবং চন্দনাইশ উপজেলার এক লাখ গ্রাহক প্রিপেইড মিটার পাবেন।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (কেজিডিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. নাহিদ আলম বলেন, চট্টগ্রামে দ্বিতীয় দফায় আবাসিকে গ্যাসের মিটার লাগানোর কাজ ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। বর্তমানে হালিশহর এলাকায় এই মিটার লাগানো হচ্ছে। ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত এক হাজার ১০০টি মিটার বসানো হয়েছে। এ প্রকল্পের মেয়াদ আছে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত। আমাদের চেষ্টা থাকবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এক লাখ মিটার লাগানোর কাজ সম্পন্ন করা। গত ২৯ নভেম্বর প্রিপেইড মিটারের প্রথম চালান জাপান থেকে দেশে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৪
বিই/এসি/টিসি