চট্টগ্রাম: নগরের হালিশহরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আবাসন কোম্পানি উইকন প্রপার্টিজের উদ্যোগে উইকন ইনভেস্টমেন্ট ফেয়ার। চার দিনব্যাপি এ মেলা শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ।
নগরের হালিশহরের বড়পোল এক্সেস রোডে প্রতিষ্ঠানটির নব নির্মিত প্রজেক্ট উইকন হক্স বে'তে অনুষ্ঠিত হবে এ মেলা।
উইকন প্রপার্টিজ সংশ্লিষ্টরা জানান, চট্টগ্রাম শহরের আগামীর এ প্রাণকেন্দ্রকে ঘিরে বিভিন্ন আধুনিক স্থাপনা গড়ে উঠছে। যা আগামীতে আরও বাড়বে। এমন অবস্থায় নিশ্চিত বিনিয়োগের একটি সুচিন্তিত সমাধান হতে পারে উইকন প্রপার্টিজ। চার দিনব্যাপি এ মেলায় হক্স বে ছাড়াও চট্টগ্রামে উইকনের যত প্রজেক্ট আছে তা প্রদর্শন করা হবে। যেখানে গ্রাহক চাইলেই পছন্দ মত লোকেশনে বুকিং দিতে পারবেন ফ্ল্যাট।
উইকনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফাহিম বাংলানিউজকে বলেন, যেকোনো মেলাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন উদ্দেশ্য থাকে কোম্পানির। আমরা মূলত চাই উইকন সম্পর্কে লোকজন জানুক। তাছাড়া বিনিয়োগকারীদের জন্য অনেক সুযোগ সুবিধা রাখা হয়েছে। যা মেলায় আসলেই মানুষ জানতে পারবে।
তিনি বলেন, ওই এলাকায় এ ধরণে কোনো বাণিজ্যিক স্থাপনা নেই। আমরা এটাকে মিনিমল হিসেবে পরিচিত করাতে চাই। ভালো ভালো ব্যান্ডগুলোকে সেখানে স্থান দিতে চাই। যাতে ক্রেতা সাধারণ এক ছাদের নিচে তাদের সব পণ্য সেখানে পায়। চট্টগ্রামে নিউ মার্কেট, খুলশি, জিইসি কেন্দ্রীক ভালো ভালো শপিং মল থাকলেও হালিশহর এলাকায় তেমন শপিং মল নেই। তাই আমরা চাই সেখানে ভালো কিছু হোক। আমাদের এ প্রজেক্টে রয়েছে রুপ টপ রেস্টুরেন্ট। যেখান থেকে অবলোকন করা যাবে সমুদ্র।
গুণগত মান বজায় রাখা হয় বলেই বিনিয়োগকারীরা নিশ্চিন্তে বিনিয়োগ করতে পরবেন উল্লেখ করে ফাহিম বলেন, নির্মাণসামগ্রী দাম অনেক বেশি হওয়ায় প্রজেক্টের দাম বেড়েছে। তবে আমরা যে প্রজেক্টগুলো করছি নির্মাণসামগ্রীর গুণগত মান নিয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ করা হয়নি।
বিপণন বিভাগের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মনিরুজ্জামান শাকিল বাংলানিউজকে বলেন, চারদিনের এ মেলায় একজায়গায় আমাদের সব প্রজেক্ট সম্পর্কে ধারণা পাবে গ্রাহকরা। আমাদের মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত। যারা নিশ্চিত বিনিয়োগ করতে চান তাদের জন্য উইকনের এ প্রজেক্ট হতে পারে আকর্ষণীয়। ব্যবসার যেহেতু প্রসার হচ্ছে তাই আমরা আমাদের টার্গেট কাস্টমারের কাছে যাব। ওই এলাকার মানুষ খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের প্রজেক্টে আসতে পারবে।
জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) মো. নাজমুল হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, যেহেতু বিনিয়োগের নিশ্চয়তা চান গ্রাহকরা। সেহেতু ডিজাস্টার মোকাবেলায় আমরা স্বল্প, মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রেখেছি। ডিজাস্টার সবার জন্য আছে সেটা গ্রাহকের জন্য যেমন, কোম্পানির জন্যও তেমন। এমন পরিস্থিতে ডিজাস্টারের ধরণ অনুযায়ী মোকাবিলায় আমরা ব্যবস্থা রেখেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৪
এমআর/পিডি/টিসি