ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বন্দর থেকে ৩ ঘণ্টায় পণ্য যাবে ভারতে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৪
বন্দর থেকে ৩ ঘণ্টায় পণ্য যাবে ভারতে ...

চট্টগ্রাম: ১১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রশস্তকরণ হচ্ছে বারইয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক। ১৮ ফুট প্রস্থের সড়কটি উন্নীত করা হচ্ছে ৩৮ ফুটে।

এরই মধ্যে প্রকল্পের ২০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। কাজ শেষ হলে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে ৩ ঘণ্টায় পণ্য যাবে ভারতে।

প্রকল্পটি ভারত সরকারের এলওসি-৩ এবং বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন তহবিলের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০২৩ সালের জুনে সেতু নির্মাণের মাধ্যমে সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ শুরু হয়।

২০১৭ সালের ৫ এপ্রিল দিল্লিতে এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছিল। প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ৫১৩ কোটি ৭ লাখ টাকা। আর ৫৯৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ঋণ দিচ্ছে ভারত সরকার। প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ২৪৯ দশমিক ২০ মিটারের ৯টি সেতু ও ১০৮ মিটারের ২৩টি কালভার্ট এবং ৩৮ ফুট প্রস্থের ৩৮ কিলোমিটার সড়ক।

এর আগে জাইকার অর্থায়নে অন্য প্রকল্পের মাধ্যমে রামগড় থেকে বারইয়ারহাট পর্যন্ত ১৬টি সেতু ও কালভার্টের কাজ শেষ করা হয়। এজন্য ব্যয় হয় ২৮১ কোটি টাকা। সেতু ছাড়াও ২০০-৩০০ মিটার সংযোগ সড়কও নির্মাণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিপিসিএল।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অশোকা বিল্ডকন লিমিটেড এর তত্ত্বাবধানে দেড় বছর মেয়াদের এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর। ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে বারইয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক ব্যবহার করে রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে সহজে ভারতে পণ্য রফতানি করা যাবে। মিরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের সঙ্গে যোগাযোগও সহজ হবে। এতে সময় ও পরিবহন ব্যয় সাশ্রয় হবে। আমদানি-রফতানিতে গতি আসবে।

চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, বারইয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। প্রকল্পের অগ্রগতি ২০ শতাংশ। আশা করছি, প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যেই কাজ শেষ করা যাবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৪
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।