চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: একদিকে হাইকোর্টের জারিকৃত সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চলছে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন কোটা বিরোধী শিক্ষার্থীরা।
চবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, কোটা পদ্ধতি মানে তেলা মাথায় তেল দেওয়া। কোটাভোগীরা কোনো দিক দিয়েই পিছিয়ে নেই। দারিদ্র্যপীড়িত এ দেশে আজকে কয়টা পরিবারের মাসিক ইনকাম ২০ হাজার টাকা আছে? এরপরও কেন তাদের জন্য সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটা রাখতে হবে?
এর আগে গতকালও (১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে পেনশনসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে ১ জুলাই থেকে কোনো ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতি।
এ ছাড়া আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের আহ্বানে ১, ২ ও ৩ জুলাই পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছে চবি অফিসার সমিতি। একইভাবে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা প্রত্যাহার এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রণীতব্য অভিন্ন নীতিমালা বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতিও মানববন্ধন, কর্মবিরতি পালন করেছে।
ফলে কার্যত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের একাডেমিক এবং দাপ্তরিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, চলমান আন্দোলনের কারণে গত ৩০ জুন থেকে চবির ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কোনো বিভাগেই প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু করা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২৪
এমএ/টিসি