চট্টগ্রাম: তৈরি পোশাক শিল্পের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু রাখতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
বুধবার (২৪ জুলাই) বিজিএমইএর সঙ্গে বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন ও চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
বিজিএমইএর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক এম এহসানুল হক, মোহাম্মদ মুসা, আমজাদ হোসাইন চৌধুরী, মোস্তফা সরওয়ার রিয়াদ, রাকিব আল নাসের, সাবেক পরিচালক এএম শফিউল করিম (খোকন), চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম আকতার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু, বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি অমিয় সরকার বর্মণ ও সহ-সভাপতি খায়রুল আলম সুজন প্রমুখ।
স্টেক হোল্ডারদের উদ্দেশে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড।
এ ক্ষতি কাটিয়ে তৈরি পোশাকশিল্পকে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে টিকিয়ে রাখার জন্য তিনি চট্টগ্রাম বন্দর, কাস্টমস, সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সব দপ্তরসহ বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন ও চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনকে ঐক্যবদ্ধভাবে নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে কাজ করার আহ্বান জানান।
অতীতের মতো সব পক্ষের আন্তরিক সহযোগিতায় দেশের তৈরি পোশাক শিল্প পুনরায় নব-উদ্যোগে সামনে এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, তৈরি পোশাক শিল্প সম্পূর্ণ টাইম-বাউন্ড শিল্প খাত। বিদেশি ক্রেতার নির্ধারিত লিড টাইমের মধ্যে রপ্তানিতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠান মারাত্মক আর্থিক ক্ষতিতে পতিত হয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে।
সাম্প্রতিক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় তিনি অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের ঘটনা তৈরি পোশাক শিল্পখাতের জন্য অশনি সংকেত। এতে এ শিল্পের অবর্ণনীয় ক্ষতি হয়েছে। ভবিষ্যতে জাতীয় অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সভায় বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশন ও চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি