কলকাতা: নতুন বছরে কিছুটা ওজন কমানোর শপথ নিয়েছেন? ঠিক করেছেন সিক্স প্যাক না হোক মধ্যপ্রদেশে জমা চর্বিকে বিদায় দেবেন ২০১৬ তে।
ভাবছেন একবার চেষ্টা করে দেখবেন বলিউডের ‘খান’দের মতো মেদহীন চেহারা বানাবার।
সেসব খবর নিয়েই নতুন বছরের শুরুতে বলিউড খান’দের ব্যক্তিগত ‘ডায়েট চার্ট’ থেকে তুলে দেওয়া হলো এ তালিকা।
প্রথমেই তাকানো যাক বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের দিকে। মুম্বাই চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে শাহরুখ খান ‘ওয়াকর্হলিক’ নামে পরিচিত।
কাজ ছাড়া নাকি কিছুই বোঝেন না তিনি। তাই বিশ্রামের সুযোগ পেলেও তিনি সেটা গ্রহণ করেন না। সঙ্গে আছে পরপর সিগারেট খাওয়ার বদ অভ্যাস।
যদিও চাউর আছে-তিনি নাকি শুধুমাত্র সন্তানদের কথা ভেবে সিগারেট ছাড়ার চেষ্টা করছেন!
শাহরুখ খানের সিক্স প্যাকের কথা সবারই জানা। বলিউডি এ বাদশার খাদ্য রুটিনে চোখ রাখার আগে জেনে নেওয়া ভালো তার ব্যক্তিগত পছন্দের কথা।
আর তা হলো-শাহরুখ খান ‘পেপসি’ পান করতে খুব পছন্দ করেন। তার বাড়ি ‘মান্নত’র ভেতরে এ কারণে একটি পেপসি ভেন্ডারিং মেশিন লাগিয়ে ফেলেছেন তিনি।
দিনে অন্তত আট গ্লাস জল খান শাহরুখ খান। সঙ্গে থাকে কম ফ্যাট এবং কম কার্বো হাইড্রেড খাবার। কোনো ধরনের রুটি বা ভাত কিছুই খান না শাহরুখ।
তার খাবার থেকে বাদ ঘি, মাখনও। চর্বিহীন মাংস ছাড়া মুরগী, টার্কি, মাছ, পনির ও ডিমের সাদা অংশও থাকে তালিকায়।
সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে সবজি, ডাল, শিমের বীজ ও ফাইবার আছে এমন খাবারও। তবে চিনি একেবারেই না। এমনকি মিষ্টি ফলও ছুঁইয়ে দেখেন না তিনি।
ঠিক যেভাবে কোনো ধরনের অ্যালকোহল মিশ্রিত পানীয় তিনি কখনই পান করেন না। শরীর চর্চার পরে ‘প্রোটিন সেক’ খান শাহরুখ।
এবার চলি সালমান খানের দিকে। ‘মাসকুলার’ চেহারার অধিকারী সালমান প্রায় সব সিনেমাতেই একটি বার অন্তত জামা খুলে ফেলেন!
তিনি প্রায়ই তার কাছের মানুষদের বলে থাকেন- সুঠাম শরীর গঠনে ব্যায়াম কাজ করে ২০শতাংশ আর সঠিক খাবার ৮০ শতাংশ।
তিনি প্রতিদিন ১২টি ডিম খান, তবে কুসুম বাদ দিয়ে। প্রাতরাশে সালমান খান ৪ টি ডিমের সাদা অংশ এবং ফ্যাটহীন দুধ। ব্যায়াম শুরুর আগে তিনি প্রোটিন সেকের সঙ্গে খান অ্যামাইনো অ্যাসিড ট্যাবলেট ও ২ টি ডিমের সাদা অংশ।
ব্যায়ামের পরে তিনি খান প্রোটিন বার বা প্রোটিন সেক, ওটস, অ্যালমন্ড এবং তিনটি ডিমের সাদা অংশ।
দুপুরের খাবারে ৫ টি মোটা রুটি, সবজি এবং সালাদ থাকে। সঙ্গে থাকে প্রোটিন বার, কিছু অ্যালমন্ড এবং বাদাম। রাতের খাবারে থেকে দু’টি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে থাকে সবজি মাছ অথবা মাংস।
‘দঙ্গল’ চলচ্চিত্রে কুস্তিগিরের ভূমিকায় অভিনয়য়ের জন্য ওজন বাড়িয়েছেন আমির খান। এজন্য প্রচুর পরিমাণে চর্বি জাতীয় খাবার খেয়েছেন তিনি।
কিন্তু ‘গজনী’তে আমিরের পেশীবহুল চেহারা দেখে মুগ্ধ হননি এমন দর্শক কমই মিলবে। সিক্স প্যাক বানানোর সময়, তিনি প্রতিদিন ৩-৪ লিটার জল খেতেন। দিনের খাবারকে ৬ ভাগে ভাগ করে খেতেন আমির খান।
সকালে ব্যায়ামের আগে আপেল জাতীয় ফল খান তিনি। তালিকা বাদ থোকে দুধ জাতীয় কিছু খাদ্যপণ্য। তার রান্না করা হয় অলিভ অয়েল দিয়ে।
তিনি আটা, বাজারা বা রুটি খান দুপুরে। সঙ্গে থাকে প্রচুর পরিমাণে সবজি। দিনে তিন চা চামচ তেলের বেশি তেল আমির খানের খাবারে ব্যবহার করা হয় না।
সব মিলিয়ে দিলে কমপক্ষে ১৬ টি ডিম থাকে তার খাবারে। তবে অবশ্যই ডিমে ফ্যাটে ভরপুর হলুদ অংশ বাদে।
ব্রাউন ব্রেড, বিস্কুট দিনে বেশ কয়েকবার খান আমির খান। সঙ্গে অবশ্যই থেকে পাকা পেঁপে। রাতের খাবারে তিনি দু’টি তন্দুরি চিকেনের সঙ্গে চারটি ডিমের সাদা অংশও খান।
কোনো দিন মুরগীর মাংসের সঙ্গে বদলে থেকে সবজি অথবা অমলেট। চিনির পাশাপাশি এড়িয়ে চলেন ভাজাপুরিও।
পেশীবহুল চেহারার জন্য বিখ্যাত ‘ছোটে নবাব’ অর্থাৎ সাইফ আলি খান। নিরামিষশী না হলেও ছোট নবাবের প্রথম পছন্দ নিরামিষ খাবার। তার খাদ্য তালিকায় থাকে ৪৫ শতাংশ কার্বো হাইড্রেড, ৩০ শতাংশ প্রোটিন এবং ১৫ শতাংশ ফ্যাট।
নিরামিষ খাবার পছন্দ করা সাইফ আলি খান তার খাবারকে মূল চারটি ভাগে ভাগ করেছেন। এগুলো হচ্ছে- প্রাতরাশ, মধ্যাহ্ন ভোজ, বিকেলের খাওয়া এবং রাতের খাওয়া।
প্রচুর পরিমাণে সবজি ও ফল খান চার ভাগের একভাগের খাবারে সাইফ। সঙ্গে থেকে রুটি, দুধ এবং দুধের তৈরি খাবার। আছে শরীর চর্চা আর নিয়মিত 'কিক বক্সিং'ও।
বাংলাদেশ সময়: ০২১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৬
ভিএস/এমএ