আগরতলা: উৎসব প্রিয় বাঙ্গালির কাছে এখন বইমেলাও চুপিসারে এক বাৎসরিক উৎসবের স্থান দখল করে নিয়েছে বহুদিন আগেই। হোক এটা পূর্ববাংলার ঢাকা অথবা পশ্চিমবাংলার কলকাতা, উভয় জায়গাতে ছবিটা একই।
বইমেলার এই মায়াজালের বাইরে নন ত্রিপুরার বাঙ্গালিরাও। ঢাকা-কলকাতার ছোঁয়ায় বইমেলা সংস্কৃতিতে রপ্ত হয়ে গিয়েছেন পাহাড় আর উপত্যকা ভূমিতে বসবাসে অভ্যস্ত এই বাঙ্গালি সমাজ। তাই প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে রাজধানী আগরতলায় বসে বইমেলার আসর। আগরতলা বইমেলা ৩৩ শীত পেরিয়ে এখন ভরা যৌবনে, ফলে মেলায় বিক্রি-বাট্টা ভাল। তাই বইমেলায় স্থানীয় প্রকাশকদের পাশাপাশি গৌহাটি, কলকাতা, বাংলাদেশ এমনকি দিল্লীর প্রকাশকরা তাদের বইয়ের ডালি নিয়ে প্রতি বছর হাজির হন আগরতলা বইমেলায়।
ত্রিপুরায় বইমেলা এখন আর রাজধানী আগরতলাতে আটকে নেই, রাজধানীর গন্ডি ছাড়িয়ে এখন তা পৌঁছে গিয়েছে মহকুমা পর্যন্ত। এখন রাজ্যে জেলা ও মহকুমা স্তরে ছোট পরিসরে হচ্ছে বইমেলা।
শীতকালের সঙ্গে বইমেলার কোন বাস্তব সম্পর্ক নেই কিন্তু সময়ের আবর্তে এখন এ দুটি অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। ফলে হেমন্ত ঋতু কাটিয়ে শীতের হাল্কা হিমেল হাওয়া গায়ে লাগলেই বইপোকাদের মনে উকি দিতে থাকে বইমেলা ভাবনা।
ক্যালেন্ডারের পাতায় দাগ কেটে কেটেও যেন ফেব্রুয়ারি মাসের নাগাল পাওয়া যায় না। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের রাস্তা করে দিল ত্রিপুরা পাবলির্শাস গিল্ড। তারা বই প্রেমিকদের আগ্রহের কথা চিন্তা কর এগারো বছর ধরে আগরতলা পুস্তক মেলার আয়োজন করছেন।
এবারের আগরতলা পুস্তক মেলা গত ২৬শে ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে রাজধানীর উমাকান্ত ময়দানে শুরু হয়েছে, চলবে আগামী ৭ই জানুয়ারি ২০১৬ পর্যন্ত। এতে অন্যান্য জায়গার প্রকাশকরা না এলেও রাজ্যের বেশির ভাগ প্রকাশকই অংশ নেন। শনিবার (২ জানুয়ারি ২০১৬) সন্ধ্যায় পুস্তক মেলায় গিয়ে দেখা গেল ফেব্রুয়ারির বইমেলার মত ভিড় না হলেও ময়দান একেবারে ফাঁকা নয়।
এক বই বিক্রেতা (ত্রিপুরা বাণী প্রকাশনী) বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান এখানে পুস্তক মেলায় তুলনামূলক ভাবে লোক সমাগম কম হলেও যারা এখানে আসেন তাদের বেশির ভাগই প্রকৃত ক্রেতা। তাই ব্যবসা মন্দ হয় না।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৬
আরআই