কলকাতা: বহু আগেই তারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ওপার বাংলায় চলে গিয়ে থিতু হয়েছেন। তাই বলে কী জন্মভূমির কথা ভুলে যাবেন? তাও কী সম্ভব?
আসলেই সম্ভব নয়, যে মাটিতে নাড়ি পোঁতা রয়েছে, পেছনে ফিরে তাকালেই নাকে সে মাটির গন্ধ ভেসে আসে।
স্মৃতি আওড়িয়ে চেনা মানুষকে ছুঁয়ে দেখতে কিংবা তাদের সঙ্গে চেনা কোনো জায়গা নিয়ে গল্পে মেতে এ আয়োজন করেছেন কলকাতার সাবেক ময়মনসিংহবাসী।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে জমায়েত হন তারা। ময়মনসিংহ প্রাক্তনী নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশের উপ হাইকমিশনার জকি আহাদ।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ আয়োজনের মাধ্যমে তারা পশ্চিমবঙ্গের ৭০০ সদস্যকে একত্র করতে পেরেছেন। ময়মনসিংহ প্রাক্তনীর মূল কার্যালয় কলকাতায়। এছাড়া শিলিগুড়ি ও কোচবিহারেও সংগঠনের কার্যালয় আছে।
আয়োজকরা জানান, ১৫০ বছর আগে ময়মনসিংহ প্রাক্তনী প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় গত ১৭ বছর ধরে।
সংগঠনের সভাপতি কুণাল রায় চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বছরে তিনটি বড় মাপের অনুষ্ঠান করে থাকি। এই জমায়েত ছাড়াও পয়লা বৈশাখে ও বছরের অন্য সময় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আয়োজকরা জানান, এ উৎসব শুধু পুনর্মিলনী নয়, এটা মাটির টান, শেকড়ের টানকে উদযাপনের একটা চেষ্টা। সদস্যদের বেশির ভাগ সদস্যেরই বাংলাদেশের ময়মনসিংহে জন্ম।
কিন্তু দীর্ঘদিন ময়মনসিংহ থেকে দূরে থাকলেও জন্মভূমিকে ভুলতে পারেন না তারা।
এছাড়া পরবর্তী প্রজন্মকে জন্মভূমির ঐতিহ্য, ইতিহাস সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করতেও এ আয়েঅজন করা হয়ে থাকে।
অনুষ্ঠানের অতিথি বাংলাদেশের উপ হাইকমিশনার জকি আহাদ বলেন, বয়েসে প্রবীণ ময়মনসিংহ প্রাক্তনীদের আবদার থেকে অভিযোগ সবকিছু এতোটা আন্তরিক যে, শুরু করলে সেখান থেকে আর উঠতে ইচ্ছা করে না।
উপ হাই কমিশনারের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপচারিতা ছাড়াও সাংস্কৃতিক এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৬
ভিএস/এমএ