আগরতলা: আগরতলা-আখাউড়া রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্পটির অনুমোদন দিয়েছে ভারতের রেল মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি নর্থ-ইষ্ট ফ্রন্টিয়ার্স রেলওয়ের (এনএফআর) প্রধান কার্যালয় গৌহাটির মালিগাঁও থেকে ত্রিপুরা সরকারের পরিবহন দফতরকে চিঠি দিয়ে এ খবর জানানো হয়।
এতে প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৮৭.৫০কোটি ভারতীয় রুপি। প্রকল্পের সম্পূর্ণ ব্যয়ভার বহন করবে ভারত সরকার।
একটু অতীতে চোখ ফিরিয়ে দেখে নেওয়া যাক আগরতলা-আখাউড়া রেলওয়ে সংযোগ শুরুর দিকের বিষয়গুলি। ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০১৩ এই রেল সংযোগের জন্য উভয় দেশের মধ্যে মেমোরেন্ডাম অব আন্ডার স্ট্যান্ডিং (মউ) স্বাক্ষরিত হয়।
এই প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ১৫ কি. মি., এর মধ্যে ভারতীয় ভূ-খন্ডে রয়েছে ৫ কি. মি. ও বাংলাদেশ ভূ-খন্ডে রয়েছে ১০কি. মি.। বাধারঘাটের আগরতলা রেলওয়ে স্টেশন থেকে এই রেলপথটি বের হয়ে নিশ্চিন্তপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে।
ভারতীয় ভূ-খন্ডে ৫ কি. মি. রেলপথের জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে হবে ৯১.৯২৭ একর জমি। প্রথম যখন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল তখন এই জমি অধিগ্রহণের খরচ ধরা হয়েছিলো প্রায় ৩১ কোটি ভারতীয় রুপি এবং সম্পূর্ণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছিলো প্রায় ২০০ কোটি ভারতীয় রুপি। নতুন জমি অধিগ্রহণ নিয়ম অনুসারে এই পরিমাণ জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রয়োজন হবে ৩০১.১৯ রুপি। তাই জমি অধিগ্রহ খরচ কমাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এলিভেটেড করিডোর (উড়াল সেতু) করার।
রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৩.৭ কি.মি. ঘন বসতি এলাকায় এই করিডোর নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে ৬৬.৯২৭ একর এবং এর জন্য খরচ হবে ৯৭.৬৩ কোটি রুপি।
এই প্রকল্পের ভারতীয় অংশের খরচ দেবে রেল মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশে অংশের অর্থের সংস্থান করার কথা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। ভারতীয় অংশের রেলপথ নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভারতীয় রেলের নির্মাণ সংস্থা ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কনষ্টাকসন কোম্পানি লিমিটেড (ইরকন) কে।
ত্রিপুরা সরকারের তরফে জমির মূল্য বাবদ অগ্রিম ৬০ শতাংশ অর্থ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করার জন্য।
স্বপ্নের এই প্রকল্পের কাজ কবে শুরু হয় এই দিকে এখন ত্রিপুরাবাসী অধীর আগ্রহে চেয়ে আছেন। রেল সংযোগের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশকে আরও কাছে টেনে নিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৬
বিএস