কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। একদিকে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস অন্যদিকে জাতীয় কংগ্রেস এবং সিপিএম-এর জোট জল্পনা ক্রমশ উত্তেজনার পারদ ছড়াচ্ছে।
মঙ্গলবার(১৯ জানুয়ারি) সিপিএম নেতা প্রকাশ করাত মন্তব্য করছেন, পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভা নির্বাচনে জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা নিয়ে সিপিএম এর সর্বোচ্চ স্তরের সাংগঠনিক মঞ্চ পলিটব্যুরোতে আলোচনা হবে।
সিপিএম-এর সাবেক সাধারণ সম্পাদকের এই মন্তব্য জোট জল্পনাকে আরও কিছুটা হাওয়া দিল বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে, জাতীয় কংগ্রেস এবং সিপিএম-এর জোটকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষের জবাব দিয়েছেন জাতীয় কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি অধীর চৌধুরী। পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস নেতাদের একটি বড় অংশ জোটের পক্ষে সওয়াল করেছেন। তাদের মতে, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হলে পশ্চিমবঙ্গে সাংগঠনিক ভাবে আরও ভেঙে পড়বে জাতীয় কংগ্রেস।
তবে, জোটের অনেকটাই নির্ভর করছে দুই দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মতামতের ওপর। সেক্ষেত্রে ভারতের জাতীয় স্তরের রাজনীতির বাধ্যবাধকতা সামনে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের তরফে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকে পরার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
অন্যদিকে, বাম নেতৃত্বের দক্ষিণ ভারতের একটি অংশ কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে জোট করা নিয়ে কলকাতায় হয়ে যাওয়া প্লেনামে বিরোধী মত প্রকাশ করেছিল। এই বিষয়টিকেও বিশ্লেষণের মধ্যে রাখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, রাহুল গান্ধী পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস নেতাদের মতামতের পক্ষে থাকলেও এখন সোনিয়া গান্ধী ইতিবাচক বা নেতিবাচক কোনো মত প্রকাশ করেননি। এর কারণ স্পষ্ট, ভারতের রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসকে পাশে পেলে কংগ্রেসের সুবিধা।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের বিজেপি-এর দিকে চলে গেলে রাজ্যসভায় বিজেপি অনেকটাই সুবিধাজনক জায়গায় চলে যাবে।
এই সমস্ত জটিল অঙ্কের উপরেই নির্ভর করছে পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় কংগ্রেস এবং সিপিএম-এর জোটের ভবিষ্যৎ।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৬
ভিএস/পিসি