আগরতলা: মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি যুদ্ধের সময় আগরতলার সাহায্যের কথা কোনো দিন ভুলতে পরবো না বলে মত ব্যক্ত করেছেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী।
মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় গৌরব, মুক্তিযুদ্ধের সময় আগরতলা ছিলো আমাদের দ্বিতীয় বাড়ি।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় প্রথমবারের মতো আগরতলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় এ মত ব্যক্ত করেন তিনি।
হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বলেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ঘোষণা দিয়ে ছিলেন প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও সৌহার্দ্য পূর্ণ করবেন, তার ফল স্বরূপ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে। বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে তা আরও উন্নত হওয়া প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
বর্তমানে আগরতলা ও বাংলাদেশের মধ্যে বাস সার্ভিস চালু রয়েছে, চাহিদা ও বাণিজ্য বৃদ্ধি পেলে এ রুটে প্লেন সার্ভিসও চালু করা যেতে পারে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন আজ বাসে যাচ্ছি, কাল প্লেনে যাবো।
তিনি আরও বলেন, ১৯৬৫ সালের আগে ভারত ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে ৯টি পয়েন্ট দিয়ে উভয় দেশের মধ্যে রেল পথে যোগাযোগ ছিলো। বাংলাদেশ চাইছে আবারও এই পয়েন্টগুলো দিয়ে রেল যোগাযোগ শুরু হোক। এই বিষয়ে তিনি ভারতের রেলওয়ে দফতরের মন্ত্রীর সঙ্গে সম্প্রতি সাক্ষাৎ করেছেন। আগামী দুই বছরের মধ্যে এ যোগাযোগ শুরু হতে পারে বলেও জানান এ রাষ্ট্রদূত।
তিনি জানান, বাংলাদেশে ভিসা দেওয়ার বিষয়টি আগের তুলনায় সহজ হয়েছে, ভবিষ্যতে দীর্ঘ মেয়াদি ভিসা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাইকমিশনার মহ. সখোয়াত হোসেইন ও ফাস্ট অফিসার মোহম্মদ মনিরুজামান, আগরতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সত্যব্রত চক্রবর্তীসহ সাংবাদিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৬
ওএইচ/