কলকাতা: কলকাতায় চলছে ৪০তম বইমেলা। সম্প্রতি এ বইমেলায় ঘুরে যান বাংলাদেশের নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
বাংলানিউজ: কলকাতা বইমেলা আপনার কেমন লাগছে?
শাজাহান খান: খুবই ভালো। অনেক উৎসাহী মানুষ আসছেন। বাংলাদেশের স্টলে অনেক মানুষ আসছেন, বই কিনছেন।
বাংলানিউজ: বাংলাদেশে বইমেলার প্রস্তুতি চলছে। দুই বাংলার বইমেলার মধ্যে মিল-অমিলগুলো কী?
শাজাহান খান: আমার তো মনে হচ্ছে, আমি ঢাকাতেই আছি। একই রকম উৎসাহ, একই রকম আবেগ। তবে এখানে বইমেলা ১৫ দিনের আর বাংলাদেশে মাসব্যাপী। পার্থক্য এটাই। কলকাতা বইমেলায় বসে আমার মনে হচ্ছে, আমি নিজের দেশেই আছি।
বাংলানিউজ: বাংলাদেশের স্টলে এসে আপনার কী অনুভূতি?
শাজাহান খান: আমি এ বছর প্রথম কলকাতা বইমেলায় এলাম। এর আগে আমি শুনেছি, কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশের বড় মাপের স্টল হয়। কিন্তু সেটা যে এতো বড় এবং বাংলাদেশের বই নিয়ে মানুষের এতো উৎসাহ, তা আমি না দেখলে অনুভব করতে পারতাম না।
বাংলানিউজ: সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে কাগজে ছাপা বই কি একটু পিছিয়ে পড়বে না?
শাজাহান খান: আমার একেবারেই মনে হয় না। অনেক বই আছে যা সহজে পাওয়া যায় না, সেগুলিকে ডিজিটালভাবে পড়ার সুবিধা তৈরি হচ্ছে বরং। মানুষ বেশি করে পড়বে। ই-বুক পড়লেও প্রতিটি পাঠক মূল বইটি নিজের সংগ্রহে রাখতে চায়। আমার মনে হয় ডিজিটাল মাধ্যমের ফলে পড়ার প্রতি মানুষের উৎসাহ আরও বাড়বে। ফলে বই কেনার প্রবণতাও বাড়বে।
বই ছাড়াও অন্যান্য মাধ্যমে পড়া, দেখা, শোনা যায়। কিন্তু কোনো মাধ্যমের কারণেই বইয়ের পাঠক সংখ্যা কমেনি, বরং বেড়েছে। আর তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ বইমেলায় মানুষের বই কেনার উৎসাহ।
বাংলানিউজ: দু’দেশের সম্পর্ক নিয়ে আপনি কী বলবেন?
শাজাহান খান: দু’দেশের সম্পর্ক শুরু থেকেই বন্ধুত্বপূর্ণ। প্রতিনিয়ত নতুন দরজা খুলছে। আমার বিশ্বাস, আগামী দিনে সম্পর্ক আরও উন্নত থেকে উন্নততর হবে।
বাংলানিউজ: ছিটমহল বিনিময় সফলভাবে সম্পন্ন হলো, তিস্তা পানি বণ্টন নিয়ে আপনি কতোটা আশাবাদী?
শাজাহান খান: আমি আগেই বলেছি, আগামী দিনে সম্পর্ক আরও ভালো হবে। আগে আপনারা প্রশ্ন করতেন, ছিটমহল বিনিময় এবং তিস্তা চুক্তি কবে হবে? এখন প্রশ্ন করেন তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি কবে হবে।
আমার বিশ্বাস তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি হবে। হয়তো কিছুটা সময় লাগবে। কিন্তু সফলভাবেই তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি হবে বলে আমি মনে করি।
বাংলানিউজ: সময় দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।
শাজাহান খান: ধন্যবাদ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৬
ভিএস/জেডএস/এইচএ