কলকাতা: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস দমনে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছেন। মুক্তচিন্তার ওপর আক্রমণ মোকাবেলা করতে ভারত-বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের সাধারণ জনগণের ওপর আস্থা রাখতে হবে।
কলকাতার গোর্কি সদনে কলকাতা ইন্দো-বাংলাদেশ কালচারাল সেন্টার এবং রাশিয়ান সেন্টার অব সাইন্স অ্যান্ড কালচারের বিশেষ আলোচনা সভায় এসব কথা বলেছেন বক্তারা। সভায় সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উন্নতি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনার জকি আহাদ, ইন্দো-ভিয়েতনাম ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির সভাপতি কবি গীতেশ শর্মা, সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড প্রোগ্রেসের চেয়ারম্যান ও পি শা, কলকাতা ইন্দো-বাংলাদেশ কালচারাল সেন্টারের সভাপতি ড. সৈয়দ তানভির নাসরিন, ডেপুটি কনসাল জেনারেল অব রাশিয়া মিখায়েল গুসেফ এবং বাংলাদেশের একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
জকি আহাদ বলেন, ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের মাস। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস দমনে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছেন।
ও পি শাহ বলেন, সাবেক ভারতীয় উপমহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় বাড়াতে হবে। এ বিষয়ে মিডিয়ার ভূমিকার ওপর জোর দেন তিনি।
শাহরিয়ার কবির বলেন, মৌলবাদ বিশ্বের সমস্ত দেশেই আছে। তাদের মূল লক্ষ্য মুক্তচিন্তাকে হত্যা করা। বাংলাদেশে মুক্তচিন্তার ওপর আক্রমণ শুরু হয়েছে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই। এটি নতুন নয়। এ সমস্যার মোকাবেলা করতে ভারত-বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের সাধারণ জনগণের ওপর আস্থা রাখতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৬
ভিএস/এএসআর