আগরতলা: ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার হাঁপানিয়া এলাকার আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে এখন চলছে ২৬তম ত্রিপুরা শিল্প ও বাণিজ্য মেলা। প্রতিদিনই রাজধানীসহ শহরতলীর এমনকি অন্যান্য জেলার মানুষও ভিড় জমাচ্ছেন মেলা প্রাঙ্গণে।
শনিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) উপচেপড়া মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
গৃহস্থালি আসবাবপত্র, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী থেকে শুরু করে ঘরের নিত্য প্রয়োজনীয় বাসনপত্র, প্রসাধনী সামগ্রী ও খাদ্যদ্রব্যসহ জামাকাপড় কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয় ও মিজোরামসহ উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্য থেকে ব্যবসায়ীরা আসেন এই মেলায় অংশ নিতে। একই সঙ্গে বিভিন্ন পণ্য-সামগ্রীর পসরা নিয়ে ওই মেলায় হাজির হন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাও।
এ বছর ত্রিপুরা শিল্প ও বাণিজ্যমেলা পরিচালন কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য বরাদ্ধ করেছে সুসজ্জিত একটি প্যাভিলিয়ন। প্যাভিলিয়নে বিখ্যাত ঢাকাই জামদানি শাড়ির স্টল থেকে শুরু করে প্লাস্টিক সামগ্রীর স্টল, মেলামাইন পণ্যের স্টল, হস্তশিল্প সামগ্রীর স্টল ছাড়াও রয়েছে খাবারের স্টল।
প্যাভিলিয়নের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। একই সঙ্গে মাইক্রোফোনে চলছে বাংলাদেশের কণ্ঠশিল্পীদের গান। সব মিলিয়ে প্যাভিলিয়নের ভেতরের অংশকে মনে যেন মিনি বাংলাদেশ।
আরহাসিয়াম সাজিদ হস্তশিল্প সামগ্রীর পসরা নিয়ে এ বছরই প্রথম ত্রিপুরার শিল্প ও বাণিজ্যমেলায় প্রথম এসেছেন।
শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তার সঙ্গে কথা হচ্ছিল তাদের বি আর বি হ্যান্ডিক্রাফটস স্টলে দাঁড়িয়ে।
তিনি জানান, ডোরম্যাট, টেবিল ম্যাট, কার্পেট, শতরঞ্জি, জুট ব্যাগ, পার্সসহ বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে এসেছেন।
মেলার শুরু থেকে প্রতিদিন খুব ভালো বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার রুপির পণ্য বিক্রি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকাই জামদানির যেমন দেশে-বিদেশে আলাদা কদর রয়েছে তেমনি কদর রয়েছে বাংলাদেশের মেলামাইন ও প্লাস্টিক পণ্যেরও। তাই দোকানগুলিতে উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়।
বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের বাইরেও গোটা মেলা চত্বরের এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন সামগ্রীর স্টল। সব মিলিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের স্টল রয়েছে ৭০টিরও বেশি বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
একই রকম ভিড় রয়েছে ত্রিপুরা সহ উত্তরপূর্বের অন্যান্য রাজ্যগুলির স্টলেও। ত্রিপুরার দক্ষিণ জেলার অমরপুর থেকে সঞ্জিত সাহা এসেছেন আচারের পসরা নিয়ে। তার স্টলে সব মিলিয়ে রয়েছে ২০ রকম স্বাদের আচার। বিক্রি বেশ সন্তোষজনক বলে তিনিও জানান।
খয়েরপুরের গৃহবধূ কল্পনা দে ননস্টিক কড়াই ডিস সেট, জামাকাপড়সহ আরও কিছু সামগ্রী কিনেছেন মেলা থেকে। শহরের উপকণ্ঠে বাড়ি হওয়ার পরও মেলা থেকে কেন সামগ্রীগুলি কিনলেন জানতে চাইলে তিনি জানান, একসঙ্গে অনেকগুলি দোকান থাকায় যাচাই করা অনেক সহজ হয়। তাছাড়া মেলায় বহু স্টল আকর্ষণীয় ডিসকাউন্টও দেয়।
২৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া এই মেলা চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৬
এমজেএফ/