কলকাতা: ‘ডিপ্লোম্যাসি’ শব্দের অর্থ হিসেবে কূটনীতি শব্দটি কিছুটা বেমানান। একজন মানুষ কূট হলেও হতে পারেন।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর আর্টস ভবনে ‘ইন্টারন্যশানাল ডিপ্লোম্যাটিক প্রটোকল অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন’ বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনার জকি আহাদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে কূটনীতি এক ধরনের আর্ট। তাই কূটনীতির সংজ্ঞা পাল্টেছে। এক সময়ে কূটনীতি বলতে কেবল একটি দেশের লাভের কথা ভাবা হতো। বর্তমানে কূটনৈতিক সম্পর্ক পারস্পারিক সুবিধার কথা মাথায় রেখে পরিচালনা করা হয়।
ব্যক্তিগত জীবনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আব্বার তিনটি কথা আমি কর্ম জীবনে মেনে চলি। প্রথমত- জেনেশুনে কারো ক্ষতি না করা, দ্বিতীয়ত- ক্ষমা করতে শেখা, তৃতীয়ত- প্রতিশোধের ভাবনা মনে না আনা।
এক ঘণ্টার নির্ধারিত সময় থাকলেও, ছাত্রছাত্রীদের অনুরোধে উপ হাইকমিশনার ২ ঘণ্টা বিরতিহীন বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন- যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান কৌশিক সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৬
ভিএস/আরএম