আগরতলা: ত্রিপুরায় ১৪ বছর বয়সী বাংলাদেশি এক কিশোরী নিখোঁজ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। অনুপ্রবেশের দায়ে কারাভোগ করে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয় সে।
এ বিষয়ে ত্রিপুরার সোনামুড়া থানায় শুক্রবার বিকেলে (১৯ ফেব্রুয়ারি) একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে। ওই কিশোরীর মামা অমর চন্দ্র দাস বাংলানিউজকে এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গত ২৬ জানুয়ারি কুমিল্লার বাঘমারা এলাকার ওই কিশোরীকে নিয়ে ত্রিপুরায় পালিয়ে আসে উদয়পুরের সুজন দেবনাথ নামে এক যুবক। সেদিন রাধাকিশোরপুর থানার পুলিশ ওই কিশোরীকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেপ্তার করে। আদালতের রায়ে কিশোরীর এক মাসের কারাদণ্ড হয়। কারাভোগ শেষে আদালত ১৭ ফেব্রুয়ারি কিশোরীকে স্বদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার (পুশ ব্যাক) নির্দেশ দেন।
নির্দেশনা মতো সংশ্লিষ্ট মোবাইল টাস্ক ফোর্সের (এমটিএফ) হাতে কিশোরীকে তুলে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, কারাগার থেকে ওই কিশোরীর ছাড়া পাওয়ার খবর পেয়ে ত্রিপুরার শিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া এলাকায় আসেন তার মামা অমর চন্দ্র দাসসহ কয়েকজন আত্মীয়।
অমর চন্দ্র দাস অভিযোগ করেন, পরিবারের লোকজন কিশোরীর ব্যাপারে এমটিএফ’র সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের কাছে পাঁচ হাজার রুপি দাবি করা হয়। কিন্তু সাধ্যমত এমটিএফকে কিছু রুপি দেন তারা। তবে দাবি আদায় করতে না পারায় কিশোরীর হদিসও দেওয়া হয়নি স্বজনদের। পরে বলা হয় তাকে আগেই পুশ ব্যাক করা হয়েছে।
এ অবস্থায় কিশোরীকে দু’দিন ধরে খুঁজছেন স্বজনরা। এমনকি তারা সোনামুড়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করেছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে এমটিএফ’র এসআই মনিন্দ্র কুমার দাস বাংলানিউজকে জানান, তারা আগেই সোনামুড়া এলাকার এনসি নগর সীমান্ত দিয়ে ওই কিশোরীকে বাংলাদেশে পুশ ব্যাক করেছেন।
মনিন্দ্র দাবি করেন, সীমান্তের জিরো-পয়েন্টে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মেয়েটিকে পুশ ব্যাক করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৬
এইচএ/