নয়াদিল্লী থেকে: ভারতের নয়াদিল্লীর সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
ড. আতিউর রহমান বাংলা একাডেমি পুরস্কার-২০১৫ এবং এশিয়ার সেরা গভর্নর নির্বাচিত হওয়ায় ভারতের নয়াদিল্লীর সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা তাকে এ সংবর্ধনা দেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) গভর্নর ড. আতিউর রহমানকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক উন্নয়ন সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে তাকে নয়াদিল্লীতে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
এ সম্মেলনে ড. আতিউর রহমান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে আঞ্চলিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সম্মেলনে ড. আতিউর রহমানকে প্রথমে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মৌসুমী নাথ এবং মুশাররাত মেহজাবীন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ড. আতিউর রহমানের জীবনের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিস বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র নিয়ামত আলী এনায়েত লিখিত প্রবন্ধ পাঠ করেন।
এনায়েত তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ড. আতিউর রহমানের দুইটি প্রধান দিক নিয়ে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের মানুষের কাছে তিনি শুধু একজন অর্থনীতিবিদই নয়। তার বড় পরিচয় তিনি বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক। সেই সঙ্গে তিনি রবীন্দ্রনাথকে গ্রামীণ উন্নয়নের মডেল হিসেবে গণমানুষের সামনে দাঁড় করিয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে অধ্যয়নরত সব শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে নজরুল ইসলাম পারভেজ তার কাছে দক্ষিণ এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা দিক তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের উপস্থাপক আফিস বিন আলীর এক প্রশ্নের জবাবে ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘আমি একটি ওপেন বুক। আমার লুকানোর কিছু নাই। আমার জন্ম জামালপুরের হতদরিদ্র পল্লীতে। কিন্তু কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যবসায় আমাকে একজন সাধারণ মানুষের সেবক বানিয়েছে। আমি আমার গ্রামবাসীর উপকারের কথা অত্যন্ত কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি। ’
এরপর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তোমাদের দিকে চেয়ে আছে সারাদেশ। বাংলাদেশে কোনো কিছুরই অভাব নাই। অভাব শুধু দক্ষ মানব শক্তির। তোমাদেরকে সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে হবে। ’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সব শিক্ষার্থীকে ড. আতিউর রহমানের উপদেশ মন দিয়ে শুনে নিজ নিজ জীবনে বাস্তবায়নের আহ্বান জানান সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক জনাব মাহমুদুল হাসান রানা।
এদিকে, সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে ২০১৬/১৭ সেশনে ভর্তির আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে মাস্টার্স এবং এমফিল/পিএইচডি’র জন্য সার্কভুক্ত দেশের শিক্ষার্থীদের কোটাভিত্তিক আসন রয়েছে।
২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল সার্কভুক্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। আবেদনের শেষ সময় ১১ মার্চ, ২০১৬। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগে বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে।
বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগে (মাস্টার্স এবং এমফিল/পিএইচডি) প্রায় ৭৫ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। ভর্তি সম্পর্কিত সব তথ্য পেতে http://www.sau.int/ এই ঠিকানায় চোখ রাখার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫১ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৬
পিসি