কলকাতা: একদিকে মায়ানমার উপকূলে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপ, অন্যদিকে পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি বাড়ছে। ফলে জলাধারগুলো থেকে ছাড়তে হবে পানি।
পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক ভবন নবান্ন থেকে এ আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে জেলাগুলোর উদ্দেশ্যে সতর্ক বার্তা জারি করে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
প্রতি বছরই নদীগুলোর পানি বাড়লে বাঁধ থেকে পানি ছাড়া হয়। ফলে প্লাবিত হয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা।
নদীগুলোর এসব বাঁধ দেখাশোনা করে ভারত সরকারের সংস্থা দামোদর ভ্যালি করপোরেশন (ডিভিসি)।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁধগুলো থেকে পানি ছাড়া নিয়ে এর আগেও অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, প্রতিবারই রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই পানি ছাড়ে কেন্দ্র।
ডিভিসি তাদের বাধ্যবাধকতার কথা জানিয়ে দিয়েছে। তাদের তরফ থেকে বলা হয়েছে, রাজ্যকে অবগত করেই পানি ছাড়া হবে।
এদিকে টানা বৃষ্টির ফলে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় পানি জমে সমস্যা বাড়ছে। একাধিক জেলা থেকে ফসলের ক্ষতির খবর এসেছে। গঙ্গায় জলের স্তরও অনেকটাই বেড়েছে।
বিষয়টি পরীক্ষা করতে প্রশাসনের তরফে কলকাতার বিভিন্ন ঘাটে পরিদর্শন করা হয়। তবে ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি বাড়লে ওই রাজ্যের নদী প্লাবিত হয়ে পাশের বর্ধমানসহ কয়েকটি জেলা ভেসে যেতে পারে।
শুধু টানা বৃষ্টির ফলে পানির সমস্যা বাড়েনি। খবর আসছে রুপনারায়ণ, কংসাবতী নদীর পাড়ে ভাঙন ধরেছে। ধস নেমেছে দার্জিলিংয়ে।
তবে সার্বিক বিষয়গুলোর ওপর নজর রেখেছে প্রশাসন। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় তৈরি তারা। এমনাটাই জানা গেছে নবান্ন থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৬
ভিএস/জেডএস