আগরতলা: আগরতলা-আখাউড়া রেল রুট নির্মিত হলে এটিই হবে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার।
শায়েস্তাগঞ্জ থেকে চুনারুঘাট হয়ে আসামের সঙ্গে রেল যোগাযোগ থাকলেও নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে বন্ধ হয়ে যায় রেল রুটটি।
তবে এবার এ রুট চালু হলে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের অংশ হওয়ার পাশাপাশি ত্রিপুরা থেকে ঢাকা হয়ে কলকাতা পর্যন্ত যোগাযোগও সংক্ষিপ্ত হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই রেলপথটি বাংলাদেশ থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতে আসার প্রবেশদ্বার হয়ে ওঠবে।
ভারত ও বাংলাদেশের সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১২-১৩ অর্থবছরের রেল বাজেটে ত্রিপুরার আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আখাউড়া পর্যন্ত রেল সংযোগের অনুমোদন দেয় ভারত।
এ বিষয়ে ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
সূত্র বলছে, চুক্তি অনুযায়ী এ রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য হবে ১৫ কিলোমিটারের কিছু বেশি। এর মধ্যে ভারতীয় অংশে রয়েছে ৫ কিলোমিটার আর বাকি ১০ কিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে।
এ পথে মোট পাঁচটি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। লেভেল ক্রসিং থাকবে ৯টি। বড় সেতু হবে একটি, যার দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩১ কিলোমিটার। ছোট সেতু হবে ১৪টি।
কর্মকর্তারা জানান, এ রুটে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে চলতে পারবে ট্রেন। এ ট্রেন লাইনটি হবে ব্রডগেজ। যার আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৬৭ দশমিক ৮৫ কোটি রুপি।
ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে সূত্র জানায়, নতুন এ রেলপথ নির্মাণ কাজের তদারকি করছে ভারতের রেলওয়ে দফতরের অধীন নির্মাণ সংস্থা ইরকন।
২০১৬ সালের ৩১ জুলাই আগরতলা-আখাউড়া প্রস্তাবিত রেল সংযোগের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৬
এমএ/