কলকাতা: ছোট জালে ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ করলেও অন্য মাছের ক্ষেত্রে অশনি সংকেত দেখতে পাচ্ছেন মৎস্যবিজ্ঞানীরা।
বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছের ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা বেশি বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যবিজ্ঞানীরা।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চের সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ ফিসারিজ এডুকেশনের প্রিন্সিপাল বিজ্ঞানী বি কে মহাপাত্র জানিয়েছেন, সাধারণভাবে একটি পরিণত পমফ্রেটের ওজন হওয়া দরকার ২শ’ থেকে ২শ’৫০ গ্রাম৷ কিন্তু বাজারে যে সব পমফ্রেট মাছ বিক্রি হচ্ছে তার ওজন ৩০/৫০ গ্রাম।
একই সমস্যা দেখা যাচ্ছে কাঁকড়া, আমুদি, পারশে, ভাঙন, খয়রা, ভেটকি, পায়রাচাঁদার মতো মাছের ক্ষেত্রে। আগে জালে যে পরিমাণ মাছ ধরা পড়তো, তার মধ্যে ছোট সাইজের মাছ থাকতো গড়ে ২০/৩০ শতাংশ। কিন্তু বর্তমানে এ ধরনের মাছের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬০/৭০ শতাংশে। এটাও চিন্তার বিষয় বলেও জানান তিনি।
দাম কম হওয়ায় কলকাতা ও আশেপাশের বাজারগুলোতে ছোট ওজনের মাছের চাহিদা অনেক। সংশ্লিষ্টদের মতে, এর ফলে অবলুপ্ত হতে পারে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
ছোট মাছগুলো বাজারে বিক্রি করা যাবে বলে মনে করছেন মৎস্যজীবীরা। কিন্তু মাছগুলো শুটকি হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। এ প্রবণতা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে ছোট আকারের মাছগুলো পাওয়াই কঠিন হয়ে যাবে।
মৎস্যজীবীরা অধিক লাভের আশায় ছোট সামুদ্রিক মাছ ধরছেন। এটি বন্ধ না করা গেলে ভবিষ্যতে বড় ওজনের মাছ পাওয়া যাবে না বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে নজরদারি আরও বাড়ানো না হলে এ সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৬
এসএস/ওএইচ/বিএস