কলকাতাঃ আগামী দিনে পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তানের বাজারে যোগগুরু রামদেবের প্রতিষ্ঠিত পতঞ্জলি-এর পণ্য পাওয়া যেতে পারে। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই এসব পণ্য মধ্যপ্রাচ্যে পৌচ্ছে গেছে এবং পাওয়া যাচ্ছে সৌদি আরবের মতো অনেক দেশে।
বিভিন্ন দেশে পণ্যের বাজার সম্পর্কে বলতে গিয়ে যোগগুরু রামদেব জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই নেপাল ও বাংলাদেশে কারখানা গড়ে তুলেছে পতঞ্জলি। আগামী দিনে এই দেশগুলোতেও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে পতঞ্জলি পণ্য।
এরপর পোশাক ব্যবসায়ে আসতে চলেছে পতঞ্জলি। আর পোশাক ব্যবসার শুরু হতে চলেছে ‘জিনস’-এর মাধ্যমে। চলতি বছরের শেষের দিকে অথবা আগামী বছরের শুরুতে আসতে চলেছে পতঞ্জলি ‘জিনস’। বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পতঞ্জলি সম্পূর্ণ ভারতীয় ‘জিনস’ বাজারে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জানা গেছে, ভারতের নাগপুরের মিহানে পতঞ্জলি তাদের বৃহত্তম কারখানা তৈরি করবে, যার মোট আয়তন হবে ৪০ লক্ষ বর্গফুট। প্রস্তাবিত কারখানাটি সংস্থার হরিদ্বারের কারখানার থেকেও বড় হবে বলে দাবি করা হয়েছে। নাগপুরের কারখানাটি তৈরি করতে পতঞ্জলি ১ হাজার কোটি রুপি লগ্নি করবে এবং কারখানায় ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে রামদেব জানান।
পশ্চিমবঙ্গ , মধ্যপ্রদেশ, আসম , জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্ণাটকে পতঞ্জলি বড় আকারের কারখানা গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে। সংস্থা রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট ইউনিট গড়ে তুলেছে , যেখানে প্রায় ২০০ বিজ্ঞানী কাজ করছেন। পণ্যগুলিকে আরও উন্নত করার পরিকল্পনা করছে তারা। আগামীতে পৃথিবীর আরও কিছু দেশে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে চায় পতঞ্জলি। তাদের আশা সব দেশেই তারা সফলতা লাভ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২ , ২০১৬
এসএস/জেডএম