আগরতলা: বাঙ্গালিদের অন্যতম বড় উৎসব দূর্গাপুজার এক বিশেষ অংশ হচ্ছে ঢাকের বাদ্যি। পুজার আয়োজন ছোট হোক আর বড় প্রতিটি মণ্ডপে কম করে একটি ঢাক নিয়ে হাজির থাকবেন ঢাকি, আর পূজার আয়োজন যদি বড় হয় তবে তো আর কথাই নেই! ছোট-বড় নানা সাইজের ঢাক নিয়ে হাজির থাকবেন একাধিক ঢাকি।
শরৎকাল এলেই ঢাকিরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন নিজেদের ঢাক ঘষেমেজে বাজানোর উপযোগী করে তোলতে। কেননা যে ঢাকের আওয়াজ যত সুন্দর ও মধুর হবে সেই ঢাকির চাহিদা বেশি।
মূলত এই কাজ করে থাকেন ঋষিদাস সম্প্রদায়ের মানুষ। তাই সারাবছর পেটের তাগিদে পশু জবাইসহ অন্যান্য কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলেও বছরের এই সময়টায় তারা ব্যস্ত হয়ে থাকেন ঢাক নিয়ে।
ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার আড়ালিয়া ঋষি কলোনিতে গিয়ে দেখা গেলো ঢাকিদের দারুণ ব্যস্ততা। কেউ বা পশুর চামড়া শুকাতে ব্যস্ত আবার কেউ কেউ ঢাক ঠিকঠাক করছেন। কলোনি এদিক ওদিকে নানা আকারের চামড়া শুকতে দেওয়া আছে।
এমনই এক ঢাকি নগেন্দ্র ঋষিদাস’র সঙ্গে কথা হয়। ঢাকের কাজ করতে করতে বছর ৫৫ বয়সী নগেন্দ্র ঋষিদাস বাংলানিউজকে বলেন, বছর বছর পূজা বাড়ে, বছর বছর ঢাকের চাহিদাও বাড়ে। এবছর পূজার পাঁচদিন পণ্ডপে বাজানোর জন্য নূন্যতম ১২ হাজার রুপি থেকে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার রুপি নেওয়া হবে।
আরও জানান ঢাক বাজানোর পাশাপাশি তিনি নতুন ঢাক তৈরি করেন, ঢাকের ছাউনি দেন (ঢাকের দুই পাশে চামড়া লাগানোর কাজ) ও ঢাক টেনে দেন (সঠিকভাবে আওয়াজ করার জন্য পুরাতন ঢাকের চামড়া টেনে দেওয়া)। এ বছর নতুন ৩টি ঢাক তৈরির অগ্রিম কাজ পেয়েছেন বলেও জানান।
দূর্গাপুজার দিন এগিয়ে এলে সরগরম হয়ে ওঠে আড়ালিয়া ঋষি কলোনি। বছরের অন্যসময় যাদের খোঁজ কেউ রাখে না তাদের খোঁজে কলোনিতে ছুটে যান পূজা কমিটির কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৬
আইএ/