আগরতলা: ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতি উৎসব। যার বাকি আর মাত্র দুইদিন।
রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা বটতলা-নাগেরজলা সড়কের পাশে ও উজ্জয়ন্ত প্রাসাদের (ত্রিপুরা রাজপ্রাসাদ) সামনে রাস্তার পাশে লাগানো হয়েছে বড় বড় দুইটি বিলবোর্ড। চলতি পথে মানুষের নজর কাড়ছে এই বিলবোর্ডগুলো। নিত্যদিন কাজের জন্য বের হওয়া মানুষ কয়েক মুহুর্তের জন্য দাঁড়িয়ে দেখে নিচ্ছেন এমন প্রচারণার বিষয়বস্তু।
এছাড়া আগতলার সুকান্ত একাডেমি ও অনুষ্ঠানস্থল রবীন্দ্রশতবার্ষিকী ভবনের সামনেও লাগানো হয়েছে ছোট ছোট ব্যানার। সব মিলিয়ে আগরতলা এখন অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসবের জন্য। ইতোমধ্যে কলকাতা থেকে আসতে শুরু করেছেন কবি-সাহিত্যিক-শিল্পীরা।
দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে রবীন্দ্রশতবর্ষী ভবন ও আগরতলা প্রেসক্লাব। ত্রিপুরা রাজ্যের বাংলা ভাষার অন্যতম পত্রিকা ‘আরশি কথা’র উদ্যোগে এতো সব আয়োজন।
আয়োজক কমিটির প্রধান ও সাহিত্য পত্রিকা আরশি কথা’র সম্পাদক শান্তনু শর্মা বাংলানিউজকে বলেন, সবার ঐকান্তিক সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক সাহিত্য ও সংস্কৃতি উৎসব সফল হবে বলে আশা করছি। আয়োজনটি সফল করতে বিভিন্নভাবে যারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
দুই দিনব্যাপী এ উৎসবের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে শীর্ষ অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম।
অনুষ্ঠানের প্রথমদিন ২৬ সেপ্টেম্বর (সোমবার) অনুষ্ঠানসূচি
‘আরশি কথা’র বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ। স্থান: আগরতলা প্রেসক্লাব, সময়: বিকেল সাড়ে ৫টা।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে থাকবেন, ত্রিপুরার সমাজসেবী পাঞ্চালী ভট্টাচার্য। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আজকের ফরিয়াদ ও ক্রাইম ফোকাসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাণিত দেব রায়, সাংবাদিক এস আর এ হান্নান (বাংলাদেশ), আগরতলা প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি আরকে কল্যাণজিৎ সিং, ত্রিপুরার ভাতৃভাষা মিশনের চেয়ারম্যান ড. গোপালমণি দাস, ত্রিপুরার বিশিষ্ট কবি কল্যাণ গুপ্ত, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. দেবব্রত দেব রায়, ত্রিপুরার বিশিষ্ট সাংবাদিক অমিত ভৌমিক, লায়ন বিশ্বনাথ দাস, জোন চেয়ারম্যান লায়নস ক্লাব অব আগরতলা গ্যালাক্সি।
স্মারক সম্মাননা প্রদান: এই অনুষ্ঠানে স্মারক সম্মাননা পাবেন, ত্রিপুরার বিশিষ্ট সাংবাদিক বিপুল ভৌমিক ও ত্রিপুরার বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শুভ্রজিৎ ভট্টাচার্য।
সাংস্কৃতিক পর্ব: সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করবেন, শিউলী রায়, স্বর্ণিমা রায়, হিরন্ময় চক্রবর্তী, রীতা চক্রবর্তী। সমবেত সংগীত পরিবেশন করবেন আগরতলার ‘ধ্যান’ সংস্থার শিল্পীরা।
তবলা সহযোগিতায় থাকবেন, নারায়ণ বিশ্বাস, বিভাস ঋষিদাস ও মেঘনাদ চক্রবর্তী।
কবিতা পাঠ: স্বপ্না ভট্টাচার্য, সিদ্ধার্থ হালদার, মীনাক্ষী ভট্টাচার্য ও দীপান্বিতা সেন গুপ্ত।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন আগরতলার বাচিক শিল্পী শাওলী রায়। এদিনের অনুষ্ঠানে গর্বিত সহযোগী রয়েছেন তন্ময় রায় চৌধুরী, প্রণব দেবনাথ ও রুপম রায়।
দ্বিতীয় দিন ২৭ সেপ্টেম্বরের (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠানসূচি
আন্তর্জাতিক সাহিত্য ও সংস্কৃতি উৎসব। স্থান: রবীন্দ্রশতবর্ষী ভবন, সময়: বিকেল ৫টা। এ উৎসবে প্রধান অতিথি থাকবেন, ত্রিপুরা সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ভানুলাল সাহা। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, ফুলন ভট্টাচার্য, মেয়র পরিষদ, এ এম সি, আগরতলা, আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রথম সচিব মো. মনিরুজ্জামান, আগরতলার স্যন্দন পত্রিকার কর্ণধর ও বরিষ্ঠ সাংবাদিক সুবল দে, আজকাল পত্রিকার ব্যুরো চিফ সমীর ধর, স্কুল অব সায়েন্সের অধ্যক্ষ অভিজিৎ ভট্টাচার্য ও শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের কর্ণধর রুপক সাহা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, ত্রিপুরার বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ড. আশিষ কুমার বৈদ্য, হেডলাইনস’র এডিটর প্রণব সরকার, হল্লাবোল নিউজ চ্যানেলের পরিচালক প্রশান্ত ভট্টাচার্য। সভাপতিত্ব করবেন, জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অগ্নি কুমার আচার্য।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: স্বাগত সংগীত পরিবেশন করবেন স্বর্ণিমা রায়। সমবেত যন্ত্র সংগীতে দেবব্রত মল্লিক (গিটার), তন্ময় ঋষিদাস (বাঁশি) ও বিভাস ঋষিদাস (তবলা)।
কবিতা পাঠ: সিদ্ধার্থ হালদার (আকাশবানী), প্রবীর পাল (বাংলাদেশ বেতার), মজুমদার বিপ্লব (পরিচালক, হরবোলা, বাংলাদেশ), জহির রায়হান (কবি, বাংলাদেশ), পিনাকপাণি দেব, স্মিতা ভট্টাচার্য, স্বপ্না ভট্টাচার্য, শাওলী রায়, আব্দুল আলিম, শেখর সি দত্ত, সুদীপ্তা দাসগুপ্ত, সুমিতা বর্মন, হেলেন দেব বর্মা, রতন আচার্য। সমবেত সংগীত: সুরঝর্ণা ও দূরন্ত।
বিশেষ নিবেদন: ‘নীলাকাশ’ সাংস্কৃতিক সংস্থা আয়োজিত ‘আগমনীর আড্ডা’। এ আড্ডায় বাংলাদেশ থেকে অংশ নেবেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী আশরাফুজ্জামান পিনু ও সংগীত শিল্পী আমিরুল মোমেনীন মানিক। এছাড়া থাকবেন ত্রিপুরা থেকে তিথি দেব বর্মন, দেবব্রত দেব রায়, অমিত ভৌমিক, প্রাণতোষ কর্মকার, দেবাষিশ এন্দ, অমর ঘোষ, সুদীপ্ত শেখর মিশ্র, রাকেশ দেব বর্মন, বৈশালী মিত্র, পুষ্পিতা চক্রবর্তী, হরিদাস সাহা, শ্রুতি রায় চৌধুরী, শর্মিষ্ঠা দে, অনিন্দিতা বিশ্বাস, নন্দিতা সাহা, সুমন বণিক ও রক্তিম দাস।
কলকাতা ও কাছাড় থেকে শর্মিষ্ঠা দাস চাকী, কণ্ঠশিল্পী (রুপসী বাংলা, আকাশ ৮, কালার্স বাংলা, সিটিভিএন, আকাশবানী) ও দিলীপ দাস (তবলা) অংশ নেবেন।
যন্ত্র সংগীত: সৌমেন্দ্র নন্দী ও পার্থ ঘোষ (কি-বোর্ড), নারায়ণ বিশ্বাস (তবলা), সৌমেন ঘোষ (গিটার), মেঘনাদ চক্রবর্তী (তবলা), ধনঞ্জয় সরকার (পারকাশন), বিভাস ঋষিদাস (তবলা)।
এইদিনে সঞ্চালনার দায়িত্বে থাকবেন, সিদ্ধার্ত হালদার (ঘোষক, আকাশবানী) ও শান্তনু শর্মা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৬
আইএ/পিসি