ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

কলকাতায় বাংলাদেশের বইয়ের স্থায়ী ঠিকানা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৬
কলকাতায় বাংলাদেশের বইয়ের স্থায়ী ঠিকানা

কলকাতা: দুই বাংলার যে চিরাচরিত বন্ধন সেই বন্ধনকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যাত্রা শুরু হলো কলকাতার ভারতী বুক স্টলে।

একটা সময় ছিলো, যখন পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের বই থেকে শুরু করে পত্র-পত্রিকা বেশ ভালোই পাওয়া যেতো।

ক্রমে নানা কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। দুই বাংলার মিলনের বড় একটি অংশ অবশ্যই দুই বাংলার সাহিত্য। আর সেই সাহিত্য চর্চার অঙ্গনকে আরও বর্ধিত করলো বাংলাদেশের প্রকাশনা সংস্থা পাঠক সমাবেশ।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভারতী বুক স্টলে উদ্বোধন হয়েছে পাঠক সমাবেশের কলকাতা কেন্দ্রের। অনুষ্ঠানের সূচনা করেন কবি শঙ্খ ঘোষ।

উপস্থিত ছিলেন- আবুল আহসান চৌধুরী, অধ্যাপক ইমানুল হক, বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের প্রথম সচিব মোফাকখারুল ইকবাল ও সাইফুল। অনুষ্ঠান শুরুর আগে সদ্যপ্রয়াত লেখক সৈয়দ শামসুল হকের সম্মানে নীরবতা পালন করা হয়।

আয়োজকপক্ষ থেকে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একুশের মহান চেতনাকে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের ভাবনার প্রসারে মানবিক চেতনাকে তুলে ধরাই হবে এই পরিকল্পনার লক্ষ্য।

আয়োজকরা আরও বলেন, দুই বাংলার সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধনের স্বপ্ন দেখেছিলেন অন্নদাশঙ্কর রায়। সেই ভাবনা থেকেই দেশভাগের ঠিক পরেই তার উদ্যোগে শান্তিনিকেতনে পাঁচের দশকের শুরুতে অনুষ্ঠিত হয় সাহিত্য মেলা। সেই সময়ের তরুণ কবি শামসুর রাহমানের পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্য অঙ্গনে পদচারণ ছিলো সেটির শুরু। সুফিয়া কামাল, কাজী মোতাহার হোসেন প্রমুখ মুক্তবুদ্ধির পান্থজনেরও পরম কাম্য ছিলো এই সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন। এই সেতু বন্ধনের এক সৈনিক হিসেবে কাজ করবে এ প্রকাশনা সংস্থার কলকাতা কেন্দ্র।

পাঠক সমাবেশের নিজস্ব বই ছাড়াও বাংলাদেশের অন্য প্রকাশকদের বইও সেখানে পাওয়া যাবে। সঙ্গে থাকবে কফি শপ। মাসের প্রথম আর শেষ শনিবার বিকেলে হবে আলাপচারিতার আসর। বিগত ছয় বছর ধরে কলকাতায় সাফল্যের সঙ্গে চলছে বাংলাদেশ বইমেলা। এরই সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বই নিয়ে কলকাতা বইমেলায় থাকে বিরাট প্যাভিলিয়ন। কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের ক্রেতাদের বাংলাদেশের সাহিত্যের প্রতি ভালবাসার প্রমাণ পাওয়া যায় এই মেলাগ‍ুলোতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৬
ভিএস/এসএনএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।