আগরতলা: ভারতের আসাম ও পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং চায়ের কদর দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। স্বাদ, গন্ধ, লিকারে রয়েছে নিজস্বতা।
এছাড়াও কেরালা, ত্রিপুরা, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, হিমাচল প্রদেশ, কর্নাটক, বিহার, উড়িষ্যাসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্য রাজ্যগুলোতেও কম-বেশি চা উৎপাদিত হয়। আসাম রাজ্যের প্রায় দুই লাখ ১৬ হাজার দুইশ’ হেক্টর জায়গা জুড়ে একশ’র বেশি চা এস্টেট রয়েছে। রয়েছে বহু ক্ষুদ্র চা চাষি, তারা বাগানের কাঁচা পাতা বিক্রি করেন।
ভারতে চায়ের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় ব্রিটিশ শাসনাধীন ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলেই। তৎকালীন সময়ে প্রচুর পরিমাণ জমি এই চা চাষের জন্য ব্যবহার করা হয়। সেই থেকে এখনও ভারতে চা উৎপাদন দিন দিন বাড়ছে।
এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৬ সালের দেশে চায়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে ভারতে চা উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে একশ’ ৮৪ দশমিক ৬০ মিলিয়ন কিলোগ্রাম। উৎপাদন বৃদ্ধির নিরিখে যা গত বছরের এই সময়ের তুলনায় ২৯ দশমিক ১৪ মিলিয়ন কিলোগ্রাম বেশি।
চা চাষের জন্য অনুকূল তাপমাত্রা ও পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত উৎপাদন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেজ্ঞরা।
এ সময়ে উত্তর ভারতে চায়ের উৎপাদন ২০ দশমিক ছয় শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন কিলোগ্রাম। পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম রাজ্যে উৎপাদন বেড়েছে যথাক্রমে ১৪ দশমিক ৪২ এবং ১২ দশমিক ২৬ মিলিয়ন কিলোগ্রাম।
অপরদিকে এই সময়ে দক্ষিণ ভারতে চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং উৎপাদিত চায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক দশমিক ৬৬ মিলিয়ন কিলোগ্রাম। তামিলনাড়ুতে উৎপাদন বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩৭ মিলিয়ন কিলোগ্রাম এবং কেরালা রাজ্যে উৎপাদন বেড়েছে এক দশমিক ৫০ মিলিয়ন কিলোগ্রাম।
চা পর্ষদ সূত্রে জানা যায়, বর্তমান আর্থিক বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর এ ছয় মাসে দেশে চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধির পরিমাণ ছিলো সাতশ’ ৯৫ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন কিলোগ্রাম। আগের বছর এই সময় উৎপাদনের পরিমাণ ছিলো সাতশ’ ৯৬ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন কিলোগ্রাম।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৬
এসসিএন/এএটি/এএ