দিল্লি থেকে: জাদুঘরের জাদুর ছোঁয়া নিয়ে পুরো দল ইন্ডিয়া গেট পৌঁছালো গোধূলি লগ্নে। দিল্লি তো বটেই, ভারতবর্ষেরও প্রতিনিধিত্ব করে যুদ্ধস্মৃতির এ স্মৃতিমিনার।
এদিন সন্ধ্যায়ও তাই। একাশো জনের দল নিয়ে যখন গেটের সামনে, তখন পা ফেলার জায়গা নেই। গেটের ঠিক সামনে পর্যন্ত পৌঁছানোই দুষ্কর। যুদ্ধে শহীদদের স্মরণে এতো উঁচু-বড় স্মৃতিসৌধ উপমহাদেশের কোথাও রয়েছে কিনা জানা নেই।
সৌধটি নির্মিত ব্রিটিশ আমলে। ১৯২১ সাল থেকে ১০ বছর লেগেছিল নির্মাণ কাজ শেষ করতে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে প্রাণ হারানো প্রায় ৯০ হাজার সৈন্যের স্মরণে গড়ে তোলা হয় সৌধটি। ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় আরউইন এটি দেশকে উৎসর্গ করেন বলে জানা যায়।
৪২ মিটার উঁচু গেটটির ডিজাইনার নতুন দিল্লির ডিজাইনারদের অন্যতম। ব্রিটিশ এ স্থপতির নাম এডউইন। সন্ধ্যা গড়াতেই যেন অন্যরকম সুন্দর রূপ নিল গেট। কিন্তু স্বল্প সময়ে পুরো দলের সদস্যদের যাওয়া হয়নি একেবারে গেটের সামনে পর্যন্ত। সে রূপ আবার আলাদা। লাল ভরতপুর পাথরের উপর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা এ স্থাপনায় গ্রানাই ও বালিপথরও ব্যবহার করা হয়েছে। উপরে ওঠার সিঁড়ি থাকলেও সেটি বন্ধ এখন।
গেটের মাঝ বরাবর ওপারে দেখা যায় আরও একটি স্থাপনা। একটি বাতি এখানে জ্বলে ২৪ ঘণ্টা। একে বলা হয় অমর জওয়ান জ্যোতি। একজন ভারতীয় সৈন্যের স্মৃতির উদ্দেশে নির্মিত হয় এটি।
গেটের চূড়ায় বড় করে লেখা ইন্ডিয়া ও ভারত। খিলানের গায়ে খোদাই করা আছে ১৩ হাজারের বেশি ব্রিটিশ ও ভারতীয় সৈন্যের নাম।
নয়া দিল্লির প্রধান প্রতীক হয়ে ওঠা এ গেট একেক সময় একেক রূপ পায়। তবে সন্ধ্যায় যে জমে ওঠে বেশি সেটা আঁচ করা গেল।
বিষাদভরা ঘটনার স্মারকটি মানুষকে সৌন্দর্য বিলিয়েই ঠাঁয় দাঁড়িয়ে কাড়ছে সবার ভালোবাসা। ইন্ডয়া গেট যাওয়ার জন্য দিল্লির যে কোনো জায়গা থেকে গাড়ি, ট্যাক্সি, অটোকে বললেই হবে।
ইয়ুথ ডেলিগেশন টিমের সবাই সে সৌন্দর্য উপভোগ করে, ইতিহাস জ্ঞান নিয়ে শেষ করে প্রথমদিনের কর্মসূচি।
আরও পড়ুন
** বাংলা উচ্চারণেই মুগ্ধতা ছড়ালেন রাষ্ট্রপতি প্রণব
** জাদুটানা দিল্লি জাদুঘর
বাংলাদেশ সময়: ০০২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৬
এএ