কারণ নজরদারির অভাবে খোকা ইলিশ’ ধরায় রাশ টানা যে কঠিন কাজ, তা মানছেন রাজ্যের খোদ মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তারাই। পরিকাঠামো এখনো সেভাবে গড়ে না ওঠাই মূল কারণ বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
৪০ মিলিমিটার মাছ ধরার জাল নিয়ে অনেকে সমুদ্রে যান। ছোট ইলিশ এই জালে সবচেয়ে বেশি ধরা পড়ে। তবে তা বিক্রির জন্য রাজ্যের বাজারগুলোয় আসে না। শাস্তির ভয়ে পাশ্ববর্তী রাজ্য উড়িষ্যাতে বিক্রি করে দেয়া হয়। এরই মধ্যে মাছ ধরতে ১৪ জুন যেসব ট্রলার সমুদ্রে গিয়েছে, তারা সোম বা মঙ্গলবার মাছ নিয়ে ফিরে আসতে শুরু করবে বলে জানিয়েছেন মৎসজীবীরা। তাঁরা বলেন, রাজ্যের জলসীমানায় ‘ভুটভুটি’ ও নৌকাতে যাওয়া মৎসজীবীদের জালেই ছোট ইলিশ সবচেয়ে বেশি ধরা পড়ছে।
সাধারণভাবে ৪০ মিলিমিটারের মাছ ধরার জালকে ‘গ্রিল নেট’ বলা হয়। আর এই গ্রিল নেটিংয়ে সবচেয়ে বেশি ছোট ইলিশ ধরা পড়ে অন্যান্য মাছের সঙ্গে।
দক্ষিণবঙ্গ মৎসজীবী ফোরামের কর্মকর্তা দেবাশিস শ্যামল বলেন, সঠিক নজরদারির অভাবে ছোট ইলিশ ধরা বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এতো ট্রলার বা নৌকাতে নজরদারি চালানোর মতো পরিকাঠামো আমাদের দপ্তরে নেই৷ তবে বাজারে খোকা ইলিশ যাতে বিক্রি না হয়, সে দিকে নজরদারি চালানো হচ্ছে। ধরা পড়লে আইন মেনেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টির দেখা না মিললেও মরসুমের শুরুতে ইলিশের দেখা মিলেছে। ৫০০ গ্রামের যে সব ইলিশ ধরা পড়ছে, তার দাম ৬০০ রুপি, ও ওজন বেশি হলে ৭০০-৮০০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে৷ শুরু থেকেই কমবেশি ইলিশ উঠতে শুরু করায় মৎসজীবীদের আশা, এবার ইলিশ ভালোই ধরা পড়বে। গুণমানও ভালো হবে৷
মোহনার মৎসজীবীরা জানিয়েছেন, ইলিশ ধরার ক্ষেত্রে দুই মাস ধরে চলা সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠেছে পশ্চিমবঙ্গে। অতএব নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ , কাকদ্বীপ, রায়দিঘি, পাথরপ্রতিমা, সাগরদ্বীপ ও দীঘায় যেসব ট্রলার বা নৌকা মাছ ধরতে গিয়েছে, সেসব ফিরে না-আসা পর্যন্ত ইলিশ কেমন ধরা পড়েছে, বলা যাবে না। তবে রাজ্যে দেদার ধরা হচ্ছে খোকা ইলিশ, মানছে মৎস্যদপ্তর।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৭
ভিএস/জেএম