অনুষ্ঠানে প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, সাংবাদিকের সঙ্গে, সংবাদ পত্রের সঙ্গে এবং সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক এতো ওতোপ্রোত যেনো জল আর মাছ। বাংলা সংবাদপত্রের সূচনা ভারতবর্ষে প্রথম হয়েছিলো অবিভক্ত বাংলাদেশে।
প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, ভারতসহ সারা বিশ্বে ইন্টারনেট অনবদ্য একটি বিপ্লব এনেছে। এর ফলে বিশ্বের মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া বা অনলাইনের মাধ্যমে সব দেশের খবর সব দেশ জানতে পারেন। তবে এর একটি অন্যদিকও আছে সেদিকে যাচ্ছি না। সাংবাদিক যেটা লেখে সেটা নিজের কথা নয়, জনগণের ভালো হোক সেটাই লেখে। রাজনৈতিক একটি খবর বিভিন্ন মিডিয়া বিভিন্নভাবে প্রকাশ করে। যেমন এক বাগানে নানা রকমের ফুল ফোটে। জনগণ কোনটা গ্রহণ করবে সেটা সম্পূর্ণ তাদের বিষয়।
অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের সভাপতি তথা দূরদর্শনের বরিষ্ঠ সাংবাদিক স্নেহাশিষ শুর বলেন, যেহেতু অবিভক্ত বাংলার দুশো বছরের সংবাদের ইতিহাস সে কারণে পরবর্তী অনুষ্ঠাটি ঢাকা প্রেসক্লাবে করতে চলেছি। এছাড়া এই উপলক্ষ্যে সারা বছর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলা সংবাদপত্রের দুশো বছর উদযাপন করবো।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীরাথ ত্রিপাঠী ও গ্রামন্নোয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা প্রেসক্লাবের সম্পাদক কিংশুক প্রামাণিক।
শেষবারের মতো রাষ্ট্রপতি হিসেবে বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) কলকাতার মাটিতে পা রেখেছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। বিভিন্ন কর্মসূচিতে পূর্ণ ছিলো তার দুদিনের সফর।
রবীন্দ্রসদনের অনুষ্ঠান সেরে বেলা ১টা নাগাদ আরসিটিসি হেলিকপ্টার যোগে দমদম বিমানবন্দর হয়ে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শেষবারের মতো দিল্লিতে ফিরে যান ভারতের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৯ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৭
এমজেএফ