কলকাতা: বিহারে মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) রাত অবধি রীতিমতো হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর গভীর রাতে যবনিকা পড়ল নির্বাচনের ফলাফলে। বিহারে ক্ষমতা দখল করে চতুর্থবার সরকার গঠন করছেন নীতীশ কুমার।
চমকের মূল কারণ ছিল বিজেপি। কারণ ভারতে গত ৬ বছরে অর্থনৈতিক মন্দা, অস্থির বাতাবরণ, করোনায় লাখো লাখো বিহারে পরিযায়ী শ্রমিক কর্ম হারিয়েও ভরসা রেখেছে মোদীতেই। তাই বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি, নীতীশ কুমারকে সঙ্গে নিয়ে রীতিমতো হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে, ফের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন নীতীশই।
মোট ২৪৩ আসনের মধ্যে ক্ষমতায় ফিরতে প্রয়োজন ছিল ১২২টি আসন। সেখানে ১২৫ আসনে জয়ী বিজেপি জোট তথা এনডিএ। অপরদিকে কংগ্রেস জোট অর্থাৎ আরজেডি পেয়েছে ১১০ আসন। বামেরা ২ ও বাকিগুলো অন্যরা। ফলে আরও একবার বিহারে মুখ্যমন্ত্রী আসনে বসতে চলেছে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট।
তবে নির্বাচনের পর বুথ ফেরত সমীক্ষা অর্থাৎ এগজিট পোলের ফল ছিল অন্য। সেখানে বলা হয়েছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে নীতীশ বাহিনীকে টেক্কা দিয়ে ক্ষমতায় ফিরবে কংগ্রেসের মহাজোট। এগজিট পোলের ফলাফলে এমন আভাসই মিলছে। অধিকাংশ সংস্থার সমীক্ষায় এই ফলই দেখানো হয়েছিল। কিন্তু সব সমীক্ষাকে খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিল সেই মোদী-নীতীশ জোট।
এবারে করোনা মহামারির আবহে এটাই ছিল ভারতে প্রথম নির্বাচন। প্রয়োজনীয় সুরক্ষাবিধি মেনে ৩ দফায় ভোটগ্রহণ পর্ব চলে। গত ২৮ অক্টোবর, ৩ নভেম্বর ও ৭ নভেম্বর ভোটগ্রহণ চলে বিহারে। প্রথম দফায় বিহারে ভোটপড়েছে ৫৪ শতাংশ, দ্বিতীয় দফায় ভোটের হার ৫৫ দশমিক ৭ শতাংশ। তৃতীয় ও শেষ দফায় বিহারে ভোট পড়েছে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ।
বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট। বিহারে রেজাল্টের দিকে তাকিয়ে ছিল মোদী থেকে মমতা। বিহারে ফল ঘোষণার পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সমর্থক উৎসবে মেতেছে। ফলে তারা বাড়তি অক্সিজেন পেল তা নিসন্দেহে বলা যতেই পারে। অপরদিকে ভাঙন ধরেছে তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে। ফলে সময়ই বলবে ২১ সালের নির্বাচনে মানুষ কার প্রতি আস্থা রাখবে, মোদী না মমতা!
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২০
ভিএস/এইচএডি