ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ত্রিপুরার জলাভূমিতে পরিযায়ী পাখির দেখা নেই, হতাশ পাখিপ্রেমীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২০
ত্রিপুরার জলাভূমিতে পরিযায়ী পাখির দেখা নেই, হতাশ পাখিপ্রেমীরা এবছর মাত্র একদিন বালিহাঁসের একটি দল দেখা গেছে/ ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): নভেম্বর মাসের শেষ দিকেও এবছর পর্যাপ্ত সংখ্যায় পরিযায়ী পাখি আসেনি ত্রিপুরায়। ফলে হাতাশা কাজ করছে আগরতলার পাখি প্রেমীদের মধ্যে।

তীব্র শীতের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হাজার হাজার কিলোমিটার পথ আকাশে উড়ে ভারত, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে আশ্রয় নেয় পরিযায়ী পাখি। শীতের শেষে বসন্ত ঋতুতে বাচ্চা ফুটিয়ে আবার নিজ দেশে ফিরে যায়। এভাবেই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে পরিযায়ী পাখির জীবন চক্র।

শীতের শুরুতেই দলবেঁধে এই সব পাখি এসে ভিড় জমায় ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন জলাভূমি ও বিলে। আগরতলার এমবিবি কলেজ লেক, অশ্বিনীমার্কেট এলাকার জলাভূমি, ঈশানচন্দ্রনগরের জলাভূমি, সিপাহীজলা জেলার রুদ্রসাগর হ্রদসহ অন্যান্য জলাশয়গুলোতে প্রতি বছর পরিযায়ী পাখি ভিড় জমায়।

অজ্ঞাত কোনো কারণে অশ্বিনী মার্কেট ও ঈশানচন্দ্রনগর এলাকার জলাভূমিতে এবছর সামান্য কিছু পরিযায়ী পাখি এসেছে বলে বাংলানিউজকে জানান স্থানীয়রা।

ঈশান চন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ সরকার বলেন, অন্য বছরগুলোতে এই সময় প্রচুর পরিমাণ পরিযায়ী পাখি আসতো এলাকার জলাভূমিতে। পাখির কলতানের মধ্যে সারা দিন পার হয়ে যেত। কিন্তু আশ্চর্য এবছর সামান্য পরিমাণে কিছু পরিযায়ী পাখি এসেছে। এই ঘটনায় আমরা হতবাক।

পাখিগুলোকে এই এলাকায় অন্য বছরগুলোতে কোনো ধরনের যন্ত্রণা দেওয়া হয়েছে কি? যার জেরে পাখিরা এবছর হয়তো এই জায়গায় আসেনি। এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এখানে লোকজন পরিযায়ী পাখিকে কোনো ধরনের যন্ত্রণা দেয় না। এমনকি বাইরে থেকে কোনো মানুষ এসে যাতে পরিযায়ী পাখি শিকার না করতে পারে এবং তাদের চলাফেরায় বাধা সৃষ্টি না করতে পারে এজন্য স্থানীয় লোকজন পাহারা দেয়।

প্রতিবছর এখানে ছবি তুলতে যান আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার তথা আগরতলার ওমেন্স কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. শ্রীমন্ত রায়।

তিনি জানান, অন্য বছরের তুলনায় এবছর ঈশান চন্দ্রনগর এলাকায় খুব সামান্য পরিমানে পরিযায়ী পাখি এসেছে। প্রতিবছর এখানে বালি হাঁস, বিভিন্ন ধরনের বকসহ আরও নানা প্রজাতির পাখি এখানে আসতো। কিন্তু এবছর গুটিকয়েক শামুকখোল বক ছাড়া আর কোনো ধরনের পরিযায়ী পাখি আসেনি। শুধু এখানে নয় এমবিবি কলেজ কোয়ার্টার কমপ্লেক্স এলাকার লেকগুলোতেও পরিযায়ী পাখি আসেনি। কিন্তু এবছর মাত্র একদিন গুটিকয়েক বালিহাঁসের একটি দল দেখা গেছে। এরপর আর দেখা যায়নি।

এর কারণ কি হতে পারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এবছর নভেম্বর মাস শেষ হয়ে গেলো, ত্রিপুরা রাজ্যে এখনো জম্পেশ শীত পড়েনি।  

তিনি আশাবাদী, কয়েকদিন পর জাঁকিয়ে শীত নামলে পাখিগুলো এখানে এসে ভিড় জমাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২০
এসসিএন/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।