ঢাকা: যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় এসেছে তাদের দূরশিক্ষণ প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে। প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশে তাদের স্বীকৃত শিক্ষাকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেছে।
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অধিভুক্ত সাতটি স্বীকৃত শিক্ষাকেন্দ্রের যে কোনো একটিতে অধ্যয়ন করতে বা স্বাধীনভাবে অনলাইনে দূরশিক্ষণ বেছে নিতে পারেন।
ঢাকা সফর সম্পর্কে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর মেরি স্ট্যাসনি ওবিই বলেন, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ৪০ বছর ধরে বাংলাদেশে অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে। সারাদেশে আরটিসিগুলোর সঙ্গে আমাদের দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। আমরা জানি, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাবিষয়ক সুবিধাগুলো সম্পর্কে উৎসাহী। আমরা আমাদের কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করার এবং ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে গল্প শোনার জন্য উন্মুখ।
তিনি আরও বলেন, এই বছরের শেষের দিকে আমরা সেই গল্পগুলো শেয়ার করবো, যাতে সারা বাংলাদেশের মানুষকে যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষার কথা বিবেচনা করতে এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করার কথা বিবেচনা করতে অনুপ্রাণিত করা যায়।
প্রতিনিধিদলটি ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজ (দক্ষিণ) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করে। ইংরেজি ও ওয়েলশ বারের ব্যারিস্টার হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চমানের শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে কলেজটি ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
প্রতিনিধিদল এ সময় বিভিন্ন শিক্ষার্থীর সাক্ষাৎকার নিয়েছে এবং বাংলাদেশে বসেই লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ সম্মানিত ডিগ্রি কোর্সে অধ্যয়ন করতে কেমন লাগে- সে সম্পর্কে তাদের প্রথম অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করেছে। কীভাবে লন্ডনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি শিক্ষার্থীদের তাদের ক্যারিয়ারের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করছে, তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
১৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিনিধি দলটি ভূঁইয়া একাডেমিতে যায়, যা লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করা বাংলাদেশের প্রাচীনতম স্বীকৃত দূর শিক্ষাকেন্দ্র। ভূঁইয়া একাডেমি আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় এলএলবি থেকে বিএসসি বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পর্যন্ত উচ্চমানের কোর্সের সুযোগ দিয়ে থাকে এবং ১৯৮৯ সাল থেকে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের প্রোগ্রাম অফার করে।
এলসিএলএসের (দক্ষিণ) একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা আমাদের প্রাক্তন ছাত্রদের অসাধারণ কৃতিত্বের সাক্ষী হতে পেতে রোমাঞ্চিত। মোহাম্মদ তাকি ইয়াসির লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন স্নাতক, যিনি শুধুমাত্র তার একাডেমিক যাত্রায়ই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেননি, নানান মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারে স্বীকৃতও হয়েছেন। তিনি তার সামাজিক প্রভাবের জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিল অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ড এবং ফোর্বস ৩০ অনূর্ধ্ব ৩০ এর জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গতিশীল পরিবেশ তৈরি করে থাকি, আমরা আরও সাফল্যের গল্পগুলোকে অনুপ্রাণিত করতে এবং আমাদের বিশ্ব সম্প্রদায়ের বৃদ্ধি ও বিকাশে অবদান রাখতে উন্মুখ।
ভূঁইয়া একাডেমির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা একটি মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং ১৯৮৯ সাল থেকে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন প্রোগ্রাম অফার করে আসছি। আমাদের শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি নিয়মিতভাবে ক্লাস এবং মূল্যায়নের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয়। যখন প্রয়োজন, আইনগত অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য মক ট্রায়াল, বিতর্ক এবং সেমিনারের ব্যবস্থা করা হয়। আমাদের দৃঢ় কাঠামোগত অবস্থান এবং প্রাক্তন ছাত্রদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা শ্রেষ্ঠত্বের জন্য চেষ্টা করি।
বাংলাদেশে বসে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক আইনের স্নাতকধারী বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে উকিল বা অন্যান্য মর্যাদাপূর্ণ আইনি ভূমিকা পালন করছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা আদালতের আইনজীবীসহ অনেকেই।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪
আরএইচ