ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) যে সক্ষমতা রয়েছে তা বিবেচনায় আসন সংখ্যা যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে। ভবিষ্যতেও আসন সংখ্যাকে যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসা হবে (কমানো) বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ ইউনিটের পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় ১হাজার ১১৩ টি আসন কমানো হয়। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ঢাবির পাঁচটি ইউনিটের অধীনে মোট আসন ছিল ৭ হাজার ১৪৮টি। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে সেটি কমিয়ে ৬ হাজার ৩৫টি করা হয়।
উপাচার্য বলেন, মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয় বলতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সক্ষমতা রয়েছে, সে অনুযায়ী কতজন ভর্তি হবে তা নির্ধারণ করা। সক্ষমতা বিবেচনায় রেখে আমাদেরকে আসন সংখ্যা নির্ধারণ করত হবে। শেখ হাসিনা দেশে ৫০টির অধিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করেছেন। যাতে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হত না পারলে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে পারেন।
উপাচার্য বলেন, আজ ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বছর ইউনিটটিতে ৩৭ হাজার ৬৭৯জন ভর্তিচ্ছু অংশ নিয়েছেন। এরমধ্যে ২৬ হাজার ১১০জন ঢাকায় এবং ১১ হাজার ৫০০ জন অন্যান্য বিভাগে পরীক্ষা দিচ্ছেন। প্রতি আসনের বিপরীতে ৩৬ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতা করছেন।
তিনি বলেন, সবগুলো বিভাগে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যাতে কোনো ডিভাইস ব্যবহার করতে না পারে, সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করার জন্য প্রশ্নকেন্দ্রিক একটি অপপ্রচার হয়েছে, তবে আমরা এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ( প্রশাসন) ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন, প্রক্টর ড. মো. মাকসুদুর রহমানসহ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪,২০২৪
এমআরএম/এমএম