ঢাকা, রবিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ইবি শিক্ষার্থীকে শ্বাসরোধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪
ইবি শিক্ষার্থীকে শ্বাসরোধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি): মার্কেটিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের আবু জাহেদ নামের এক শিক্ষার্থীকে শ্বাসরোধ করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে।  

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) অভিযুক্তদের বিচার চেয়ে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী।

অভিযুক্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রতন রায় ও রিহাব রেদোওয়ান। তারা উভয়ই শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের অনুসারী বলে জানা গেছে।

অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়ায় যাওয়ার জন্য দুপুর তিনটার বাসে উঠেন ভুক্তভোগী। এ সময় ভুক্তভোগীর বন্ধু তার (ভুক্তভোগী) জন্য দুইটি সিট ধরে রাখেন। পরে তার একটি সিটে অভিযুক্ত রতন রায়কে বসতে দেন। পরে রতন নিচে গিয়ে কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবী নিয়ে পুনরায় সিটে বসতে আসেন।

এ সময় তিনি ভুক্তভোগীকে পাশের সিটে সরে যেতে বললে ভুক্তভোগী এতে অস্বীকৃতি জানান। তখন উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রতন তার গলাটিপে ধরে রাখেন। সেইসঙ্গে রতনের বন্ধু রিহাব রেদোওয়ান তার চোখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেন। পরে বাসের সবাই তাকে ছাড়িয়ে নেয়। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, এভাবে আরও অল্প কিছুক্ষণ থাকলে তিনি মারা যেতেন।

ভুক্তভোগী আবু জাহেদ বলেন, তারা বাসে উঠে আমাকে সরে যেতে বললে আমি অস্বীকৃতি জানাই। একপর্যায়ে তারা আমার গলাটিপে ধরে, মুখ ও চোখে হাত দিয়ে ধরে রাখেন। এভাবে প্রায় অনেকক্ষণ আমাকে শ্বাসরোধ অবস্থায় রাখেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

অভিযোগের বিষয়ে রতন রায় বলেন, যেসব অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। যদি তার গলাটিপে বা চোখ আঙ্গুল দেওয়া হতো তাহলে সেটার চিহ্ন থাকার কথা। অভিযোগের সত্যতার বিষয়ে সে প্রমাণ দেখাতে পারবে?

আরেক অভিযুক্ত রিহাব রেদোওয়ান বলেন, তার এসব অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। মূলত বাসের পেছনের সিটে দুটি মেয়ে বসা ছিল, সে দুইজনের মাঝখানে বসা ছিল। তাই আমরা তাকে ওপাশে সরে যেতে বললাম। একপর্যায়ে তার সঙ্গে আমাদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরিস্থিতি খারাপ পর্যায়ে চলে যাবে ভেবে আমি তাকে গলার কলার ধরে বাসে দোতলায় পাঠিয়ে দেই।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। সার্বিক কিছু ঘটনার প্রেক্ষিতে মিটিং করা হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা সম্পর্কে পরে জানানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।