ঢাকা: রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে 'স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়' করা সম্ভব কি না, সে বিষয়ে ফিজিবিলিটি টেস্টের (বাস্তবায়নযোগ্যতা যাচাই) আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে সাত দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন তারা।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিতুমীর কলেজে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিতুমীর ঐক্যের অন্যতম সমন্বয়ক মাহমুদুল হাসান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি না। রাষ্ট্রপক্ষের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আগামী সাতদিন কোনো আন্দোলন করব না।
তিনি বলেন, ক্লোজডাউন কর্মসূচিও থাকছে না। এ ৭ দিন আমরা থাকছি ক্যাম্পাসে। সেখানে আমরা কাউন্সিলিং-ক্যাম্পেইন করব। যদি সাতদিন পর দেখি কোনোরকম অগ্রগতি নেই তখন আমরা আমাদের আগের কর্মসূচিতে ফিরে যাব। ক্লোজডাউন ও মহাখালী টু বারাসাত ব্লকেড কর্মসূচিতে ফিরব। তখন জনদুর্ভোগের দায় তিতুমীর কলেজের না, হবে সরকারের।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ ও তাদের জলকামানের উপস্থিতি সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে নিচ্ছে না। আমাদের আন্দোলনটি হুট করে আসেনি। এটা ২৭ বছরের একটা আন্দোলন। ২৭ বছর ধরে আমরা কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য আন্দোলন করছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকার সমস্যা কি? প্রশ্নটির উত্তরে মাহমুদুল বলেন, আমাদের ফলাফল বিভ্রাটের জন্য একমাত্র দায়ী ঢাবি।
এর আগে বিকেলে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আন্দোলন করা সরকারী তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সচিবালয়ে বৈঠকে বসেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. এম আমিনুল ইসলাম। বিকেল ৪টার দিকে শুরু হয়ে সোয়া দুই ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে। তিতুমীরের ১৪ প্রতিনিধি বৈঠকে অংশ নেন।
শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী প্রফেসর ড. এম আমিনুল ইসলাম বৈঠকে বলেছেন, তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করা সম্ভব কিনা সে বিষয়ে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে একটা কমিটি গঠন করা হবে। যারা ফিজিবিলিটি টেস্ট করবে। কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দেওয়া খুব কঠিন। তবে ঢাকার উত্তরে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নাই। এছাড়া তিতুমীর কলেজের ১০ একর জমি রয়েছে। কমিটি সব বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত জানাবে।
এর আগে দুপুর আড়াইটাই শিক্ষার্থীদের ১৪ জনের একটি প্রতিনিধি দল যায় সচিবালয়ে। ১৪ সদস্যের এ দলে ছিলেন- মাহমুদ হাসান মুক্তার, মোশাররফ রাব্বি, নেয়েক নূর মোহাম্মদ, আব্দুল হামিদ, নূরুদ্দিন জিসান, মতিউর রহমান জয়, জাহাঙ্গীর সানি, মেহেদী হাসান মাল, আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ বেল্লাল, আল নোমান নিরব, হাবিবুল্লাহ রনি, তোয়াহা, কাউসার।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৪
এমএমআই/এমজে