ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, ওয়েইন রুনি ও কার্লোস তেভেজদের মতো ফুটবলারদের সঙ্গে খেলেছেন নানি। তবে এত তারকার ভিড়েও নিজের জাত চিনিয়েছিলেন পর্তুগিজ উইঙ্গার।
তবে এখন থেকে আর পেশাদার ফুটবল মাঠে দেখা যাবে না নানিকে। ৩৮ বছর বয়সে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সর্বশেষ তাকে পর্তুগালের শীর্ষ লিগের ক্লাব এস্ত্রেলা আমাদোরার হয়ে খেলতে দেখা গেছে। এটি তার নিজ শহরের ক্লাব। অবসরের পর নিজের পরিকল্পনা নিয়ে কিছুই খোলাসা করেননি তিনি। তবে শিগগিরই খুশির সংবাদ দেবেন বলে জানিয়েছেন।
১৯ বছরের ক্যারিয়ার শেষ করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে এক্স-এ তিনি লিখেছেন, ‘বিদায় বলার সময় এসেছে। পেশাদার ফুটবলার হিসেবে আমার ক্যারিয়ারের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অবিশ্বাস্য এক যাত্রা ছিল। ক্যারিয়ারের উত্থান-পতনে যারা আমাকে সহায়তা ও সমর্থন করেছেন তাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দীর্ঘ ২০ বছরের ক্যারিয়ার আমাকে অনেক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দিয়েছে। সময় হয়েছে জীবনে নতুন অধ্যায় যোগ করার। নতুন লক্ষ্যে এবং স্বপ্নে মনোযোগ দিতে চাই। শিগগিরই দেখা হবে। ’
নানির ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু হয় ২০০৫ সালে, নিজ দেশের ক্লাব স্পোর্তিং সিপির জার্সিতে। এই ক্লাবের হয়ে দুই বছর খেলেন তিনি। এরপর স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের ডাকে ২১ মিলিয়ন পাউন্ড ট্রান্সফার ফিতে যোগ দেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সর্বকালের সেরা কোচের অধীনে প্রথম মৌসুমেই চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতেন নানি।
৮ বছরে ইউনাইটেডের জার্সিতে ১টি ক্লাব বিশ্বকাপ ও ৪টি প্রিমিয়ার লিগ জেতার স্বাদও পেয়েছেন নানি। ২৩০ ম্যাচ খেলে করেছেন ৪১ গোল। এরপর খেলেছেন ফেনেরবাচ, ভালেন্সিয়ার জার্সিতে। ২০০৬ সালে পর্তুগালের জার্সি গায়ে চাপানোর পর খেলেছেন ১১২ ম্যাচ। এই সময়ে গোল করেছেন ২৪টি। রোনালদোর নেতৃত্বে ২০১৬ সালে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন তিনি।
২০১০/১১ মৌসুমে ইউনাইটেডের বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন নানি। প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা একাদশেও স্থান পান তিনি। তার ১৪টি লিগ অ্যাসিস্ট ওই মৌসুমের সর্বোচ্চ। ২০১৪-১৫ মৌসুমে ধারে স্পোর্তিংয়ে খেলতে গিয়ে পরের মৌসুমে ফেনেরবাচে যোগ দেন তিনি। এছাড়া খেলেছেন ভালেন্সিয়া, লাৎসিও, ওরলান্ডো সিটি, মেলবোর্ন ভিক্টরির মতো ক্লাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২৪
এমএইচএম