প্রথমবারের মতো ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। গতকাল ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা।
পেশাদার ফুটবলারদের নিয়ে গঠিত ইউনিয়নের সহ-প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বেয়াউ বুশ বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টের সঙ্গে যুক্ত গুরুতর মানবাধিকার ঝুঁকিগুলো সুস্পষ্টভাবে নথিভুক্ত। বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ইভেন্টের আয়োজনের অধিকার অর্জনের মাধ্যমে, সৌদি আরব এবং ফিফাকে নিশ্চিত করতে হবে যে ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপে সকলের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে। তবে ফিফার চলমান প্রশাসনিক ব্যর্থতা এবং মানবাধিকার রক্ষায় তাদের জবাবদিহিতার অভাব কোনোভাবেই আশ্বস্ত করে না যে, এই ক্ষতি প্রতিরোধ করা সম্ভব। ’
পেশাদার ফুটবলারদের ইউনিয়নের প্রতিবাদের বিপরীতে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি সৌদি সরকার ও ফিফা। এর আগে অনেকবারই মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে সৌদি আরব। আইনের মাধ্যমেই নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে তারা।
গত বছরই ফিফা জানায়, ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজকস্বত্ব দেওয়া হবে এশিয়া কিংবা ওশেনিয়া মহাদেশের কোনো দেশকে। এই লড়াইয়ে সৌদি আরবের বিপক্ষে যৌথভাবে দাঁড়ানোর চিন্তা করেছিল অস্ট্রেলিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। পরে অবশ্য আর আনুষ্ঠানিকভাবে বিড করেনি তারা। তাই এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনও (এএফসি) এককভাবে সৌদি আরবকে সমর্থন করে।
গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে সৌদি আরবের নাম ঘোষণার পর একপ্রকার তোপের মুখেই পড়ে ফিফা। তাদের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে অভিবাসী শ্রমিকদের সংগঠন, শ্রমিক ইউনিয়ন, এলজিবিটি অধিকারকর্মীরাসহ বিভিন্ন সংস্থা।
এর আগে ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক কাতারকে নিয়েও সমালোচনা করেছিল অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়রা। এক ভিডিওতে তারা তুলে ধরেছেন কাতারে মানবাধিকার ও সমলৈঙ্গিক সম্পর্কের পরিস্থিতি। এক যুগ পর আবারও মধ্যপ্রাচ্যে বসতে যাচ্ছে বিশ্বকাপের আসর।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
এএইচএস