প্রথমার্ধের পঁয়তাল্লিশ মিনিট খুঁজে পাওয়া যায়নি মেসিকে। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না ওয়ার্ল্ড কাপ জায়ান্ট আর্জেন্টিনাকেও।
বসনিয়ানদের নিজের জালে নিজেরা পাঠানো 'ফাও' গোলটা পেয়ে কি একটু বেশিই গা ছেড়ে দিয়েছিলো আর্জেন্টিনা? হয়তো না। শেষদিকে 'মেসিময়' হয়ে ওঠা এই ম্যাচটায় বসনিয়া-হারজেগোভিনার খেলোয়াড়রা সত্যি সত্যিই চাপে ফেলে দিয়েছিলো ফেভারিট আর্জেন্টিনাকে।
খেলার শুরু থেকে মাঝ-বিরতি পর্যন্ত ছায়া হয়ে থাকা, গোটা চারেক ভুল পাসের আসামি লিওনেল মেসি বিশ্বময় রাত জাগা আর কাজে না যাওয়া মানুষগুলোকে, স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে আসা ডাইহার্ড ভক্তদেরকে দ্বিতীয়ার্ধে কি উপহার দেবেন তা অনুমান করা ছিলো রীতিমতো কঠিন। অথচ, মেসি যে ম্যান উইথ অ্যা প্ল্যান ! তিনি কি করবেন তাতো তিনিই জানতেন।
সেকেন্ড হাফে হঠাৎ জেগে ওঠ্য মেসি নামের ম্যাজিশিয়ান তার বাঁ পায়ের কাজে মাটি কামড়ানো, সাইডপোস্ট ছোঁয়া ক্লিনিক্যাল গোলটা করে বুঝিয়ে দিলেন কেন তাকে মানা হয় এই প্রজন্মের সেরা আর সর্বকালের সেরাদের একজন।
তবে ফুটবল বুদ্ধিজীবীদের ভাষায়, পেলে-মারাদোনার মতো গ্রেটেস্টদের একজন হতে হলে নাকি বিশ্বকাপ জেতা জরুরি। যদি তাই হয়, প্রথম ম্যাচটা জিতে আর যাদুকরী ঐ গোলটা করে মেসি আর তার দল কি বোঝাতে পারেনি ঠিক পথেই এগোচ্ছে আর্জেন্টিনা ?
বাংলাদেশের আধুনিক স্পোর্টস সাংবাদিকতার পথিকৃৎ মনে করা হয় তাকে। বর্তমানে কানাডার মন্ট্রিয়লে থাকেন। তবে এখনও স্পোর্টস এবং লেখালেখি তার হ্রদস্পন্দনের সাথেই যেনো মিশে আছে। বিশ্বকাপ ফুটবলের এবারের আয়োজনে ফরহাদ টিটো লিখছেন বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য।
বাংলাদেশ সময় ১১২০ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৪