ঢাকা: ম্যাচের ৭৮ মিনিটেই পর্তুগালকে ৪ গোল দিয়েছে জার্মানি। যার ৩টিই এসেছে থমাস মুলারের পা থেকে।
গোল শোধে মরিয়া ১০ জনের পর্তুগাল চেষ্টা করেও জার্মানির জালে কোনো বল জড়াতে পারেনি। ফলে ৪-০ গোলে পর্তুগালের বিপক্ষে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জার্মানরা।
ম্যাচ যখন প্রথমার্ধের শেষ বাঁশি বাজার অপেক্ষায় তখনই নিজের দ্বিতীয় গোলটি করলেন থমাস মুলার। এরপরপরই বিরতিতে ম্যাচ। প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে এগিয়ে জার্মানি। বিপক্ষে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল।
এর আগে ম্যাচের ৩২ মিনিটের মাথায় হ্যামেলস দ্বিতীয় গোলটি করেন অসাধারণ দক্ষতায়। ১২ মিনিটে প্রথম গোল করে জার্মানি। এটি আসে পেনাল্টি শট থেকে। গোল করেন মুলার। ডি-বক্সের মধ্যে পেরিরা ফাউল করে হলুদ কার্ড পাওয়ার পর এই পেনাল্টি শট পায় জার্মানি।
পর্তুগাল তথা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো তার লড়াই চালিয়েছেন। প্রথম গোল হজম করার পর দফায় দফায় আক্রমণ চালিয়েছেন তিনি। রোনালদোকে ঘিরে চলে জার্মানিদের সার্বক্ষণিক চেকে রাখার লড়াই।
কিন্তু হয়তো চাপ সহনীয় পর্যায়ে ছিলো না পেপের। অসদাচরণের দায়ে ৩৭ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় পেপেকে।
ম্যাচের ২৫ মিনিটের মাথায় নানির শটে পর্তুগালের গোল পাওয়ার সুযোগ তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।
এদিকে, ম্যাচের ২৭ মিনিটে আঘাত পেয়ে আলমেইদা মাঠে পড়ে গেলে পর্তুগালের জন্য সময় আরও খারাপ হয়ে ওঠে। অবশেষে মাঠ ছাড়তেই হয় ডিফেন্ডার আল মেইদাকে। পরিবর্তে মাঠে নামেন এডার।
এর আগে ম্যাচের প্রথম মিনিটেই সালভাদোর স্টেডিয়াম হয়ে ওঠে রণক্ষেত্র।
এবারের বিশ্বকাপে ‘জি’ গ্রুপেরও এটি প্রথম ম্যাচ। মুখোমুখি জার্মানি ও পর্তুগাল।
জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল সালভাদরের অ্যারেনা ফন্টে নোভা মাঠে উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ করেন।
জার্মানির খেলেছে ৪-২-৩-১ বিন্যাসে। একাদশ: ম্যানুয়েল ন্যুয়ার (গোলরক্ষক), ম্যাট হামেলস, পার মার্টেস্যাকার, ফিলিপ লাম, এরিক ডার্ম, বাস্তিয়ান শোয়েন্সটেইগার, টনি ক্রুস, মেসুত ওজিল, আন্দ্রে শার্লে, থমাস মুলার ও মারিও গোৎজে।
পর্তুগালের বিন্যাস ৪-৩-৩। একাদশ: রুই পাট্রিসিও (গোলরক্ষক), ব্রুনো আলভেস, পেপে, ফ্যাবিও কোয়েনত্রাও, জোয়াও পেরেইরা, উইলিয়াম কারভালহো, রাউল মেইরেলেস, জোয়াও মুতিনহো, নানি, হুগো আলমেইদা ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৮ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৪