ঢাকা: প্রথমার্ধের বিরতি শেষে খেলা শুরু হয়েছে। মাত্র ৩১ সেকেন্ডে ঘানার জালে বল পাঠিয়ে বিশ্বকাপের এবারের আসরের দ্রুততম গোল করলেন যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক ডাম্পসি।
গোল পরিশোধে মরিয়া ঘানা মাত্র ১২ মিনিটে সুযোগও পায়। যদি না মিডফিল্ডার আতসু অফসাইডের ফাঁদে পা না দিতেন। তবে ১৯ মিনিটের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের আল্টিডোরের আক্রমণ ঘানার বোয়ে ঠেকিয়ে না দিলে দ্বিতীয় গোলের স্বাদ পেয়ে যেতো যুক্তরাষ্ট্র।
অনেকটা বেপোরোয়া খেলায় ৩০ মিনিটের মাথায় ঘানার রাবিউকে ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দিয়ে সর্তক করেন রেফারি জোনাস এরিকসন।
৩২ মিনিটে ঘানার একটি আক্রমণ রুখে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক হাওয়ার্ড। ৪১ মিনিটি যুক্তরাষ্ট্রের সংঘবদ্ধ আক্রমণ শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হলে আরও একবার পার পায় ঘানা।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে দু’দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে কিছুটা বাক্য বিনিময় হয়। তবে রেফারির মধ্যস্থতায় তা মিটে যায়।
বিশ্বকাপের এবারের আসরের পঞ্চম দিনের শেষ খেলায় মুখোমুখি হয়েছে ঘানা ও যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোর ৪টায় ম্যাচটি শুরু হয়। তৃতীয়বারের এ সাক্ষাতের আগে দু’টি ম্যাচেই ২-১ গোলে জয় পায় ঘানা।
পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকলেও কোনো ধরনের ছাড় দিতে রাজি নয় যুক্তরাষ্ট্র। দলে রয়েছেন অ্যটাকিং মিডফিল্ডার ক্লিন্ট ডাম্পসি। আর প্রেরণা হিসেবে রয়েছেন কোচ ক্লিন্সম্যান।
২০১০ বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স দেখিয়ে ছোট দলের বড় তারকা বনে যান ঘানার সেন্টার ফরোয়ার্ড আসামোয়া জিয়ান। তাই এবারও ‘ব্ল্যাক স্টার’দের ভরসা এই জিয়ান।
২০১০ এর কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায় নেওয়া ঘানা ২০০৬ সালে দ্বিতীয় রাউন্ডে বাদ পড়ে। অন্যদিকে ১৯৩০ সালে সেমিফাইনালে উঠলেও ২০০২ সালের আগে বিশ্বকাপে উল্লেখযোগ্য কোনো সাফল্য নেই যুক্তরাষ্ট্রের। ২০০২ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত ওঠে দলটি। ৪-৪-২ ফরমেটে খেলছে দলটি।
ঘানা একাদশ: কোয়ারাসি (গোলরক্ষক), জিয়ান (অধিনায়ক), ওপারে, আতসু, আন্দ্রে আইয়ু, মুনতারি, জে. আইয়ু, রাবিউ, মেনসা, আসামোয়া ও বোয়ে।
কোচ: আকওয়াসি আপিয়াহ।
যুক্তরাষ্ট্র একাদশ: টিম হাওয়ার্ড (গোলরক্ষক), ব্রাডলি, বিসলার, বিসলে, ডাম্পসি (অধিনায়ক), বেদোয়া, জোন্স, বেকারম্যান, আল্টিডোর, ক্যামেরুন এবং জনসন। ৪-২-৩-১ ফরমেটে খেলছে তারা।
কোচ: ইর্য়ুগেন ক্লিন্সম্যান।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৬ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৪