ফিফা ব্রাজিল বিশ্বকাপের ২০তম আসরের তৃতীয় লালকার্ড পেলেন পর্তুগালের সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার পেপে। জার্মানি ও পর্তুগালের মধ্যকার ‘জি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচের ৩৭ মিনিটে মুলারকে মাথায় আঘাত করায় তিনি এ লালকার্ড পান।
এ ধরনের জঘন্য ফাউলের জন্য এমনিতেই পরবর্তী ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না রিয়াল মাদ্রিদের এই খেলোয়ার। কিন্তু ব্যাপারটির সেখানেই শেষ হবে কীনা তা এখনো নিশ্চিত নয়।
কারণ, এ ধরনের অপরাধের জন্য তিন ম্যাচের জন্য বহিষ্কার হওয়ার ঘটনা ফিফার ইতিহাসে কম নয়। ১৬ জুন রাতে পেপে যা করলেন, তা আসলে একঅর্থে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে ফ্রান্সের জিদেনিন জিদানের সেই মুহূর্তটির কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। সেবার ফাইনালে ইতালির মার্কো মাতারাজ্জিকেও একইভাবে আঘাত করেছিলেন জিদান।
লালকার্ড পেয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়া ছাড়াও জিদানকে মোটা অঙ্কের জরিমানা গুনতে হয়েছিলো। এছাড়াও তিন ম্যাচের জন্য সাসপেন্ড হয়েছিলেন।
পেপের ভাগ্যেও কি তাই আছে? অবশ্য যদি সেরকম কিছু ঘটে তাহলে অবশ্য পেপের জন্য সেটা নতুন কোনো অভিজ্ঞতা হবে না। কারণ এর আগে মাঠে এরচেয়েও জঘন্য অপরাধ করে টানা দশ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ ছিলেন পেপে। সেই ঘটনাটি অবশ্য ঘটেছিলো লা লিগায়, ২০০৯ সালে।
২০১১ সালেও মাঠে মেজাজ হারিয়ে ফেলা পেপের ‘ফাউলের’ শিকার হন বার্সেলোনার লিওনেল মেসি, দানি আলভেস, লেভান্তের জাভি তোরেস। এসব ঘটনায়ও শাস্তি পেতে হয়েছে পেপেকে।
পেপের আগে এ বিশ্বকাপে আরো দুজন লালকার্ড পান। বিশ্বকাপের তৃতীয় দিন উরুগুয়ে-কোস্টারিকা ম্যাচে উরুগুয়ের মাক্সিমিলিয়ানে পেরেইরা বিশ্বকাপের প্রথম লালকার্ড পান।
চর্তুথ দিন ফ্রান্স ও হন্ডুরাসের খেলায় হন্ডুরাসের উলসন পালিসিয়াস পান দ্বিতীয় লালকার্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৪