ঢাকা: মঙ্গলবার (১৭ জুন) ব্রাজিল-মেক্সিকো ম্যাচসহ প্রথম রাউন্ডের তিনটি খেলা রয়েছে। ব্রাজিলের তিন শহরের তিন স্টেডিয়ামে এসব খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
দেখে নেওয়া যাক এসব স্টেডিয়ামের কিছু তথ্য-
স্টেডিয়াম: এস্তাদিও মিনেইরাও, শহর: বেলো হরিজোন্তে
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় দিনের প্রথম খেলা অনুষ্ঠিত হবে এস্তাদিও মিনেইরাওতে। এ খেলায় বেলজিয়াম লড়বে আলজেরিয়ার সঙ্গে।
এস্তাদিও মিনেইরাও স্টেডিয়ামটি ব্রাজিলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর বেলো হরিজোন্তেতে অবস্থিত। অর্ধশতাধিক বছর আগের এ স্টেডিয়ামটি ১৯৬৫ সালে খেলার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। স্টেডিয়ামটিতে ৬৮ হাজার ১৭০ জন বসে খেলা উপভোগ করতে পারেন।
বেলো হরিজোন্তে ব্রাজিলের মিনাস জেরিইস স্টেটের রাজধানী। পুর্তুগিজ ‘বেলো হরিজোন্তে’ এর অর্থ সুন্দর দিগন্ত। ৩৩১ বর্গ কিলোমিটার এ শহরটির জনসংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ।
স্টেডিয়াম: এস্তাদিও কাস্টেলা, শহর: ফোর্তালেজা
মঙ্গলবার রাত ১টায় ফোর্তালেজার এস্তাদিও কাস্টেলাও স্টেডিয়ামে ব্রাজিল ও মেক্সিকোর মধ্যে বিশ্বকাপের খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
এস্তাদিও কাস্টেলা স্টেডিয়ামটি ব্রাজিলের সিয়েরা স্টেটের ফোর্তালেজা শহরে অবস্থিত। স্টেডিয়ামটি ১৯৭৩ সালে খেলার জন্য উন্মুক্ত হয়। এর ধারণ ক্ষমতা ৬০ হাজার ৩৪২ জন।
ফোর্তালেজা শহরটি ১৭২৬ সালে একটি গ্রাম ছিলো। ১৭৯৯ সালে এটি সিয়েরার রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। পুর্তুগিজ ফোর্তালেজা এর অর্থ দুর্গ। ১৬৩৭ থেকে ১৬৫৪ সালের মধ্যবর্তী সময়ে ওলন্দাজরা এ এলাকাটি দখল করে দুর্গ নির্মাণ করে। এ জন্য এর নামকরণ হয় ফোর্তালেজা।
স্টেডিয়াম: অ্যারেনা প্যান্তানাল, শহর: কুইয়াবা
দিনের শেষ খেলায় বুধবার ভোর ৪টায় রাশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া লড়বে কুইয়াবার অ্যারেনা প্যান্তানাল স্টেডিয়ামে।
অ্যারেনা প্যান্তানাল স্টেডিয়ামটি মাটো গ্রোসো স্টেটের রাজধানী কুইয়াবায় অবস্থিত। স্টেডিয়ামটি এ বছরই তৈরি করা হয়েছে। এর ধারণ ক্ষমতা ৪১ হাজার ১১২ জন।
কুইয়াবা শহরটি দক্ষিণ আমেরিকার ভৌগলিক মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। এটি আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ২০০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ১৭১৯ সালে এ শহরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। শহরটিতে এখনো বহু ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে যা ১৯৯২ সালে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে ঘোষিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৪