বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ফেডারেশন কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বাংলাদেশের পুলিশের মুখোমুখি হয় বসুন্ধরা কিংস। ম্যাচের শুরু থেকেই পুলিশের অর্ধে আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে অস্কার ব্রুজোনের শিষ্যরা।
ম্যাচের নবম মিনিটে পুলিশের বুলগেরিয়ান মিডফিল্ডার আন্তোনিও লাসকভের ফ্রি-কিক ফিস্ট করে ফেরান বসুন্ধরার গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। এরপর থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ কার্যত চলে যায় গতবারের রানার্সআপদের হাতে। ১২তম মিনিটে বসুন্ধরার কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড দেনিয়েল কলিনদ্রেসের ব্যাক ভলি জালে জড়ালেও অফ সাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়।
ম্যাচের ষোড়শ মিনিটেই এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। বখতিয়ারের থ্রু পাস ধরে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন কলিনদ্রেস। কিন্তু সেখানে তাকে ফাউল করেন খান মোহাম্মদ। ফলে পেনাল্টি পায় বসুন্ধরা। আর তা থেকে গোল আদায় করে নেন তপু বর্মণ। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বর্তমান প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয় বসুন্ধরা। শুরুতেই একটা সহজ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন বসুন্ধরার তাজিক ফরোয়ার্ড আখতাম নাজারভ। কিন্তু তার শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। তবে ব্যবধান বাড়াতে খুব বেশি অপেক্ষায় থাকতে হয়নি। ৪৯তম মিনিটেই ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠে পুলিশের গোলরক্ষক আরিফুজ্জামান হীমেলকে পরাস্ত করেন কলিনদ্রেস।
দুই গোলে এগিয়ে যাওয়া বসুন্ধরা ৫৫তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত। কিন্তু হীমেলের গ্লাভস গলে বেরিয়ে যাওয়া বল ইব্রাহীমের টোকায় পেয়ে যান বখতিয়ার। কিন্তু তার শট গোললাইন পার হওয়ার আগেই পুলিশের এক ডিফেন্ডার ফিরিয়ে দেন। এরপর তপু এবং ইব্রাহিম সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি। ইব্রাহীম অবশ্য জাল খুঁজে পেয়েছিলন, কিন্তু অফসাইডের কারণে হতাশ হতে হয় তাকে।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে পুলিশের সিডনি রিভেরাইরার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগ মুহূর্তে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার নিকোলাস দেলমন্তের গোলে বড় জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে বসুন্ধরা কিংস।
আগামী রোববার (৫ জানুয়ারি) ফাইনালে বসুন্ধরা কিংসের প্রতিপক্ষ রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২০
এমএইচএম