খেলার প্রথম দিকে দুই দলেই এলোমেলো ভাবে খেলতে থাকে। তবে ৩৭ ও ৪০ মিনিটে দুইটি সহজ সুযোগ মিস করে স্বাগতিক বসুন্ধরা কিংস।
বিরতির পর ৫৯ মিনিটে কিংস সেনাপতি কলিনদ্রেস আবাহনীর গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে ৩-০ গোলে এগিয়ে নেন। এরপর শুরু হয় নাটকীয়তা। ৬৪ মিনিটে হেডে প্রথম গোল করেন আবাহনীর দলপতি আইভরি কোস্টের খেলোয়ার কেফি জেন। ৬৭ মিনিটে আবাহনীর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড এন ব্রিজোলারাকে ডি-বক্সের ভিতরে অবৈধভাবে বাধা দিলে পেনাল্টি শুটে ব্রিজোলারাই শুট করে গোল করেন। এতে ৩-২ গোলে ব্যবধান কমে আসে। ৮৭ মিনিটে ব্রিজোলারা আবারো এক অসাধারণ হেডে গোল করে ৩-৩ গোলে সমতায় নিয়ে আসেন। খেলার অতিরিক্ত পাঁচ মিনিটে গোল করে বসুন্ধরা কিংসকে নিজ ঘরের মাঠে প্রথম হারের বাজে স্বাদ দেয় আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এম চিনেদু।
শেষমেষ ৩-৪ গোল ব্যবধানে নাটকীয় জয়ে ছয় খেলায় চার জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকলো চট্টোগ্রাম আবাহনী। আর ছয় খেলায় তিন জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয় নম্বরে থাকলো গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস।
নীলফামারী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে নীলফামারী শেখ কামাল স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে দর্শকদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
বসুন্ধরা কিংসের সাধারন সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম বলেন, করোনা সংকট কেটে গেলে আবারো দর্শকপূর্ণ গ্যালারিতে অন্যান্য খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২০
এমএমএস