আগের মৌসুমের ধাক্কা সামলে চ্যাম্পিয়নস লিগের নতুন মৌসুমটা দারুণভাবে শুরু করল বার্সেলোনা। ফেরেন্সভারোসকে ৫-১ গোলে হারিয়েছে কাতালান জায়ান্টরা।
ক্যাম্প ন্যুয়ে মঙ্গলবার রাতে হাঙ্গেরির দলটিকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেছে কোম্যানের বার্সেলোনা। দলের প্রথম গোলটা এসেছে মেসির পা থেকেই। পেনাল্টি থেকে করা এই গোল মেসিকে একটি রেকর্ডে নাম লেখিয়ে দিয়েছে। এই নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের টানা ১৬তম মৌসুমে গোলের দেখা পেলেন তিনি। রেকর্ডটিতে তার আগে শুধু সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড উইঙ্গার রায়ান গিগসের নাম ছিল। শুধু তাই না এই নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে ৩৬টি ভিন্ন ভিন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে গোল করার অনন্য কীর্তিও গড়া হয়ে গেল মেসির।
২০০৫/০৬ মৌসুমে পানাথিনাইকসের বিপক্ষে নিজের প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ গোলের দেখা পেয়েছিলেন মেসি। ওই আসরে সেটাই ছিল তার একমাত্র গোল। পরের মৌসুমেও আবার একটি গোল আসে তার পা থেকে। এরপর ২০০৭/০৮ থেকে ২০১৮/১৯ পর্যন্ত প্রতি মৌসুমেই কমপক্ষে ৬টি করে গোল করেছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। গত মৌসুমে অবশ্য মাত্র ৩টি গোল করেছিলেন।
মেসির গোলের পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি বার্সার হাতে চলে যায়। ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ংয়ের বাড়ানো বলে দুর্দান্ত এক ভলিতে ৪২তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান আনসু ফাতি। এরপর ফাতির অ্যাসিস্টে ৫২তম মিনিটে দলের তৃতীয় গোল করেন ফিলিপ্পে কৌতিনহো।
৬৮তম মিনিটে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে নিজেদের ডি-বক্সে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বার্সা ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে। পেনাল্টি থেকে সফরকারীরা ব্যবধান কমালেও ততক্ষণে অবশ্য অনেক দেরি হয়ে গেছে। পরে বার্সার বড় জয় নিশ্চিত করেন পেদ্রি ও দেম্বেলে। ১৭ বছর বয়সী পেদ্রির সিনিয়র দলের হয়ে এটাই প্রথম গোল। আর দীর্ঘ বিরতির পর গোলের দেখা পাওয়া দেম্বেলের গোলটি এসেছে মেসির সৌজন্যেই।
পিকের লাল কার্ড দেখা বার্সার জন্য বড় দুঃসংবাদ। কারণ গ্রুপ 'জি' এ বার্সার পরের প্রতিপক্ষ জুভেন্টাস। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অভিজ্ঞ ডিফেন্ডারকে পাবে না কাতালান জায়ান্টরা। তবে তরুণ প্রতিভা পেদ্রি এবং আগের পুরো মৌসুম ইনজুরি এবং ফর্মের সঙ্গে লড়াই করা দেম্বেলের গোল পাওয়া নিঃসন্দেহে কোচ কোম্যানের জন্য স্বস্তির খবর।
বাংলাদেশ সময়: ১০১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২০
এমএইচএম